আগস্ট ৮, ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরে স্থানীয় সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে সাংবাদিক সমাজ তীব্র নিন্দা ও গভীর শোক জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ, এ ঘটনা শুধু একজন সাংবাদিককে হত্যা নয়, এটি মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন আঘাত।
শুক্রবার, ০৮ আগস্ট বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। বিচারহীনতা ও নিরাপত্তাহীনতা এই সহিংসতার বড় কারণ। অপরাধীরা শাস্তি না পাওয়ায় এবং সাংবাদিকদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা না থাকায় হামলার ঘটনা বারবার ঘটছে। এতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। পাশাপাশি গণতন্ত্র ও মানবাধিকারও সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে।’
বিবৃতিতে সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি জানানো হয়— ১. সাংবাদিক তুহিনের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। ২. সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আলাদা আইন প্রণয়ন ও তার কার্যকর বাস্তবায়ন। ৩. সাংবাদিকদের ওপর সব প্রকার হয়রানি, মিথ্যা মামলা ও নিপীড়ন বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ। ৪. সাংবাদিক নিগ্রহ ও হত্যার প্রতিটি ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত এবং আলাদা টাস্কফোর্স গঠন। ৫. সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে গঠনমূলক ও টেকসই উদ্যোগ। বিবৃতিতে দেশের সব গণমাধ্যম, সাংবাদিক সংগঠন ও নাগরিক সমাজকে এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের পক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন— দৈনিক খবরের কাগজের সহসম্পাদক এম আর লিটন, সংবাদ প্রকাশের কলামিস্ট ও সাবেক সিনিয়র সাব এডিটর হাবীব ইমন, বৈশাখী টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল মাসুম, রূপালী বাংলাদেশের সিনিয়র রিপোর্টার সেলিম আহমেদ, সাংবাদিক প্রমথেশ শীল, সমকালের লিড ভিডিও সম্পাদক সুজন শর্মা, বাংলাদেশ টেলিভিশনের রিপোর্টার মিরাজ উদ্দিন, একুশে টেলিভিশনের রিপোর্টার ইমন চৌধুরী, আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক সাখাওয়াত ফাহাদ, একুশে টেলিভিশনের প্রতিবেদক আরিফুল ইসলাম সাব্বির, দৈনিক ভোরের আকাশের সাংবাদিক সুজন বিপ্লব, সাপ্তাহিক একতার সহসম্পাদক শুভ চন্দ্র শীল, মুক্ত বাংলার সম্পাদক সোহাগ আলী, আলোকিত প্রতিদিনের ভিডিও এডিটর মোহাম্মদ মাহমুদুল আলম, দৈনিক করতোয়ার মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মো. আলিফ মিয়া ও ক্যানভাস বাংলার সাংবাদিক প্রশান্ত কৈরী।