ডিসেম্বর ১৬, ২০২২, ০৬:৩৬ পিএম
তৃতীয় বিশ্বকাপ জেতার জন্য দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে স্বপ্ন বুনছে আর্জেন্টিনা। এবার সেই স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে লিওনেল মেসির দেশটি। ১৮ ডিসেম্বর তাঁরা ফ্রান্সের সাথে লড়বে শিরোপা জেতার জন্য। এ জন্য তাঁরা কঠোর পরিশ্রমও শুরু করেছে। কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে বৃহস্পতিবার প্রথম অনুশীলন সেরেছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। সেখানে মেসি অনুপস্থিত ছিলেন! এ নিয়ে নানামুখী গুঞ্জন ডালপালা মেলছে।
তবে মেসি অনুশীলনে না থাকলেও মাঠে ছিলেন বিশেষ এক অতিথি সার্জিও আগুয়েরো! ফুটবলকে বিদায় বলা আর্জেন্টাইন এ সাবেক তারকা বিশ্বকাপের শুরু থেকেই কাতারে আছেন। মেসিদের উৎসাহ দিতে নানা কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকতে দেখা যাচ্ছে তাকে।
ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে মাঠে বেশ কবার পায়ে হাত দিতে দেখা গেছে আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরাকে। তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, পায়ে কিছুটা সমস্যা অনুভব করছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
আর তারপরই ভক্তদের মনে শঙ্কা দানা বাঁধতে থাকে; ফাইনালে পাওয়া যাবে তো? ম্যাচের পর অনেক গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, কৌশলগত কারণেই মেসির চোটের বিষয়টি অনেকটা চেপে গেছে আর্জেন্টাইন টিম ম্যানেজমেন্ট।
ম্যাচ জয় নিশ্চিত জেনে আলভারেজ, মলিনাদের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠ থেকে তুলে নিয়েছেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। কিন্ত পায়ে ব্যথা নিয়েও খেলে গেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। বড় ইনজুরির ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তাকে উঠিয়ে নেননি কোচ। শুধু এ ম্যাচ নয়, পুরো বিশ্বকাপেই প্রতিটি ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন মেসি।
দিন দুয়েক আগে মেসির ইনজুরি নিয়ে সতীর্থ গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ জানান, বিশ্বকাপ শুরুর আগেই মেসির পুরনো চোট ছিল। এমনকি পিএসজিতে বেশকিছু ম্যাচ মিস করেছেন তিনি। তবে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট নাকি বেশি গুরুতর নয়। ভক্তদের আশ্বস্ত করলেন, সুপার সানডেতে লুসাইলে বিশ্বকাপ ফাইনালে নাকি স্বরূপে দেখা যাবে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে।
অ্যাস্টন ভিলায় খেলা মার্টিনেজ বলেন, 'আমরা নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১২০ মিনিট খেলেছি, এটা তাঁর (মেসি) জন্য কঠিন খেলা ছিল। কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন যে, তিনি প্রতিটি খেলা শেষ করে আসতে চেয়েছেন। শারীরিকভাবে তিনি সত্যিই ভালো আছেন এবং প্রতিটি খেলায় ম্যাচসেরাও হয়েছেন।’
মেসির মাঠে থাকা মানেই প্রতিপক্ষের ভয়। সতীর্থদের জন্য অনুপ্রেরণা। মেসি মাঠে থাকলে তাঁকে সামলাতেই আলাদা পরিকল্পনা করতে হয় প্রতিপক্ষের কোচকে। মার্কিংয়ে রাখে ২-৩ জন ফুটবলার। ইতিহাস গড়ার ম্যাচে মেসির যে থাকা চাই-ই চাই।