বঙ্গোপসাগরে সম্পদ অনুসন্ধান, আহরণ এবং তার টেকসই ব্যবহারে জোর প্রদান করা হয়েছে ঘোষিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে। সরকার ২০০ মিটার গভীরতার উর্ধ্বে Area Beyond National Jurisdiction এ বাণিজ্যিকভাবে টুনা এবং অন্যান্য বৃহৎ পেলাজিক মৎস্য আহরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
সম্পদের মজুত ও মৎস আহরণের ক্ষেত্র বাছাই করা হবে
বঙ্গোপসাগরের ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত এ বিশাল সমুদ্রসম্পদ দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখবে। আর এ কথা মাথায় রেখেই এবারের বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে বঙ্গোপসাগরের সম্পদ আহরণে গৃহীত কিছু পদক্ষেপের কথা। যেমন, উক্ত গভীর সমুদ্রের মৎস্য সম্পদের মজুদ নিরূপণ ও মৎস আহরণ ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ, Exclusive Economic Zone ( EEZ) এবং উক্ত এলাকাসমূহে সামুদ্রিক মৎস নৌযান পরিবীক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
প্রযুক্তির মাধ্যমে জরিপ করা হবে
গভীর সমুদ্রে মৎস ও অন্যান্য সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করার লক্ষ্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জরিপকার্য পরিচালনা করা হচ্ছে এবং এ কাজে দেশে দক্ষ জনবল তৈরি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
টুনা মাছ আহরণে প্রকল্প
গভীর সমুদ্রে টুনা মাছ আহরণে প্রস্তাবিত ব্যয় ৬১ কোটি ৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় দেশে মাছ উৎপাদনের পরিমাণ আরও বাড়াতে কয়েকটি ভ্যাসেল কেনার পরিকল্পনা করছে মৎস্য অধিদপ্তর। এর মাধ্যমে গভীর সমুদ্র থেকে বেশি পরিমাণে টুনা মাছ আহরণ করা যাবে।২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
ফিশিং ভ্যাসেল কেনার উদ্যোগ
গভীর সমুদ্রে টুনা ধরতে তিনটি লং লাইনার প্রকৃতির ফিশিং ভ্যাসেল কেনা হবে। এছাড়াও ভ্যাসেল পরিচালনা করতে দেশি-বিদেশি পরামর্শক নিয়োগ করা হবে। টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মৎস্য আহরণ, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার কর্মকৌশল ও কর্মপরিকল্পনা তৈরি, ক্রুসহ টুনা আহরণে নিয়োজিত ১০০ জনকে প্রশিক্ষণ এবং ৩৭ জন দেশীয় ও ৭ জন আন্তর্জাতিক পরামর্শক নিয়োগ করা হবে।
অগভীর অঞ্চলেই মৎস আহরণ সীমাবদ্ধ
বাংলাদেশের ক্ষুদ্রায়তন মৎস্য সেক্টরের মাধ্যমে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণ প্রধানত সাগরের অগভীর অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ। অনেক ক্ষেত্রেই মৎস্য সংরক্ষণ আইন সঠিকভাবে প্রতিপালন করা হয় না। এছাড়া আধুনিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রলারের মাধ্যমে মৎস্য আহরণ চারটি ফিশিং গ্রাউন্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।