প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা দীর্ঘ হওয়া তাদের মানবিক সহায়তা দিতে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ছে। করোনাকালীন সময়ে জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩ এর মাধ্যমে সাহায্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। যার ফলে এই কার্যক্রম চালু রাখতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খাতের আওতায় মানবিক সহায়তার বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে দুর্যোগ খাতে বরাদ্দ ছিল ৯ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা। আসছে অর্থবছরে তা বাড়িয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব করা হচ্ছে। সে হিবেসে প্রায় ৭২৭ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা। যে কারণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মানবিক সহায়তার তালিকা দীর্ঘ হয়েছে। বিশেষ করে করোনাকালীন জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩-এর মাধ্যমে মানুষকে সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ ব্যাপক সাড়া ফেলে। এমন সব উদ্যোগের পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকেই আসন্ন বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব থাকছে।
করোনায় সাহায্য অব্যাহত থাকবে
যতদিন পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে ততদিন এই উদ্যোগ অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। তাই বরাদ্দ চাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি টিআর-কাবিটার মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে যে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া সবধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বরাবরের মতো আলাদা বরাদ্দ থাকবে।
অতি দরিদ্রের জন্য গতিশীল সহায়তা
সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠী বিশেষ করে করোনাভাইরাসে ক্ষতির শিকার মানুষদের জন্য যে মানবিক সহায়তা সরকার চালু করেছে তা ২০২১-২২ অর্থবছরে আরও গতিশীল করতে চায়। সে লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে অতি দরিদ্রদের জন্য ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব থাকছে। টিআর প্রকল্পে থাকছে দেড় হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ প্রস্তাব। থাকবে কাবিটার জন্যও। সরকারের টিআর-কাবিটা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখছে। প্রান্তিক পর্যায়ে নতুন নতুন ইনোভেটিভ কাজ করতে সহায়তা করছে।