মানুষের ব্যক্তিগত গোপন বিষয় তার নিজস্ব ও একান্ত। সেই গোপনীয়তার নীতি নানা দেশেই গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। সেই গোপনীয়তার নীতি ভঙ্গের কারণে ফেসবুকের বিরুদ্ধে নানা সময়ে মামলা হয়েছে। সেসবের একটি মামলায় নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে ফেসবুক। এ জন্য তারা দেবে ক্ষতিপূরণও।
২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসে প্রথম পথ চলা শুরু হয় ফেসবুকের। মার্ক জ়াকারবার্গের সংস্থার বয়স এখন ১৯ বছর। সেই শুরুর সময় থেকে যাঁরা ফেসবুকের সাথে আছেন, তাঁদের সামনে ক্ষতিপূরণের অর্থলাভের সুযোগ। ফেসবুকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন একটা বড় অংশের ব্যবহারকারী।
আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানানো হয়েছে, ফেসবুকের কাছ থেকে ব্যবহারকারীরা এখন ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন। আমেরিকার যেসব ফেসবুক ব্যবহারকারী গত ১৬ বছর ধরে টানা এই অ্যাপটি ব্যবহার করছেন, তাঁরাই ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।
ফেসবুকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই নিয়ে মামলাও হয়েছে। সেই মামলার সূত্রেই ব্যবহারকারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে জ়াকারবার্গের সংস্থাকে। আমেরিকার কোটি কোটি মানুষ ফেসবুকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের অর্থ দাবি করতে পারবেন।
২০১৮ সালে কেমব্রিজের একটি তথ্য সংগ্রহকারী অ্যাপ ব্যক্তিত্ব নির্ভর কুইজ়ের জন্য প্রায় ৯ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করেছিল। তা প্রকাশ্যে আসার পর ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ফেসবুক কেন তৃতীয় কোনও অ্যাপকে তার ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যে হস্তক্ষেপ করতে দিয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলে বিচার চলে আমেরিকার একাধিক আদালতে। প্রথম থেকেই মেটা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল, তবে গত ডিসেম্বরে তারা সমঝোতায় রাজি হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়বে। তারপর মেটার কাছে ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ পেতে পারবেন গ্রাহকদের একাংশ।
সূত্র: পেটা পিক্সেল