ইউক্রেনে কোনোভোবেই ‘নো ফ্লাই জোন’ সম্ভব নয় বলে আবারও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে উত্তর আটলান্টিক সামরিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটো।
লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি রাশিয়ার সাথে যুদ্ধবিরতির আলোচনা পরিস্থিতির মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে মার্কিন কংগ্রেসে দেয়া ভাষণে নো ফ্লাই জোন বলবত করার দাবি জানিয়েছিলেন।
একই সঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আরো সাহায্য চেয়ে এক আবেগপূর্ণ ভাষণে জেলেনস্কি তাকে যুদ্ধবিমান সরবরাহের আহ্বান জানান, যাতে ‘ইউক্রেনের আকাশকে রাশিয়া মৃত্যুর উৎসে পরিণত করতে না পারে’।
আরও পড়তে পারেন: ইউক্রেনে বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর সংখ্যা জানাল জাতিসংঘ
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনিয় প্রেসিডেন্টের ‘নো ফ্লাই জোন’ দাবি প্রত্যাখ্যান করে ন্যাটো বলেছে এটি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সামরিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে. তবে নো ফ্লাই জোন বলবত করা সম্ভব নয়।
ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলেনবার্গ স্পষ্ট করে বলেছেন, ইউক্রেনের সহায়তায় দেশটিতে ন্যাটোর সৈন্য পাঠানো বা নো ফ্লাই জোন ঘোষণার অর্থ হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া। আর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে-যা ন্যাটো কোনোভাবেই চায় না।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধের ২২ তম দিন বৃহস্পতিবার রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে রুশ বাহিনী।
ইতোমধ্যে ইউক্রেনের প্রায় ৩১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এ ছাড়া দেশটির দুই ১৩ শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১৩ হাজার ৮০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
তবে ইউক্রেনের ওই দাবি উড়িয়ে দিয়ে রাশিয়া বলছে যুদ্ধে তাদের ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ২ হাজার ৮৭০ জনের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
সূত্র; সিএনএন, বিবিসি, রয়টার্স
।