খেরসনে আনন্দ; মনে ভয় যুদ্ধ তো এখনো শেষ হয়নি!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ১৪, ২০২২, ০১:০৩ এএম

খেরসনে আনন্দ; মনে ভয় যুদ্ধ তো এখনো শেষ হয়নি!

ইউক্রেনের খেরসন শহর থেকে রাশিয়ান সৈন্য প্রত্যাহারের পর খেরসনবাসী উল্লাস করে স্বাগত জানিয়েছে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের। খুশিতে সবাই নেমে আসে রাস্তায়। দীর্ঘ সময় কিছুটা সুখ এসেছে ইউক্রেনে। কিন্তু এখনো তো যুদ্ধ চলছে সেই ভয় সবার মনে।

kherson 2

খেরসনের একজন বাসিন্দা রুশ সৈন্যরা চলে যাওয়ার পর সেখানকার পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, সেখানে লোকজন রাস্তায় নেমে আবেগে গান গাইছে, নাচছে।

kherson 1

তিনি বলেন, খেরসন এখন মুক্ত। সবকিছু এখন বদলে গেছে। সবাই আজ সকাল থেকে কাঁদছে। শহরে আসা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের সবাই আলিঙ্গন করতে চাইছে।

খেরসন শহরের আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী কিয়েভ এবং ওডেসাসহ ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে। তবে এই আনন্দের সুযোগ নিয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো হামলা চোখ এড়িয়ে না যায় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে ইউক্রেন কর্মকর্তারা। 

এদিকে, কম্বোডিয়ায় আসিয়ান দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা বলেছেন, আমরা যুদ্ধের ময়দানে জয়লাভ করছি। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ চলবে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর উপদেষ্টা ইউরি সাক বিবিসিকে বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার মতো সময় এখনো আসেনি।’

গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর খেরসন একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী যেটি রুশরা দখল করতে পেরেছিল। সেখান থেকে রুশ সৈন্যদের পিছু হটাকে এই যুদ্ধে রাশিয়ার জন্য এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিপর্যয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার এই পশ্চাদপসরণকে এক ‘অসাধারণ বিজয়’ বলে বর্ণনা করেছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এটিকে তার দেশের জন্য এক ‘ঐতিহাসিক দিন’ বলে বর্ণনা করেন।

মস্কো জানিয়েছে, খেরসন থেকে তারা ৩০ হাজার সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সেই সঙ্গে সেখান থেকে প্রায় ৫ হাজার সামরিক সরঞ্জাম, অস্ত্র-শস্ত্র এবং অন্যান্য জিনিসও তারা সরিয়ে নিয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবরে বলা হচ্ছিল, ইউক্রেনের সৈন্যরা নিপ্রো নদীর একেবারে পশ্চিম তীর পর্যন্ত চলে এসেছে। তবে এই নদী পার হওয়ার প্রধান সেতু আংশিক ধসে গেছে। কিভাবে এই সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা পরিষ্কার নয়।

অন্যদিকে যে রুশ সৈন্যরা খেরসন দখল করে নিয়েছিল, তারা এখন নদীর পূর্ব দিকে চলে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাশিয়া খেরসন থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিল গত বুধবার। তারা বলেছিল, এই শহরে আর রসদ সরবরাহ করা যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার সেখানে রুশ সৈন্যদের সেরকম পিছু হটার দৃশ্য চোখে পড়েনি। কিন্তু শুক্রবার ঘটনা ঘটতে থাকে বেশ দ্রুত।

Link copied!