গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া যুদ্ধের বিরতির বিষয়ে রাজি হওয়ার জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনকে আহবান জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো।
সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলাদাভাবে ফোনে কথা বলার সময় তিনি যুদ্ধ বিরতিতে যাওয়ার আহবান জানান।
আরও পড়তে পারেন: দাগি আসামিদের ছাড়ছে ইউক্রেন সরকার
এলিসি প্রাসাদ সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন’র এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রথমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন। দেড় ঘণ্টা ধরে দুজন কথা বলেন।এসময় প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ দ্রুত যুদ্ধ বিরতির বিষয়ে চাপ দেন বলে সূত্র জানায়।
এরপর প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। ইউক্রেনের নেতাকেও তিনি একই চাপ দেন।
অরও পড়তে পারেন: এবার ‘কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রাখার’ নির্দেশ পুতিনের
এদিকে, কিয়েভে মূহুর্মূহু বিস্ফোরণের মধ্যেই সীমান্তে চলছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের বৈঠক। প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেইকসি রেজনিকোভ। এর আগে ইউক্রেন বেলারুশের কাছে রাশিয়ার সঙ্গে কোনওরকম আলোচনায় বসতে অস্বীকার করেছিল ইউক্রেন। কারণ, এখানে সীমান্তের কাছেই মোতায়েন রয়েছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেন সরকারের সূত্র অনুযায়ী, মস্কোর সঙ্গে এই আলোচনার প্রধান উদ্দেশ্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা এবং ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার।
আলোচনা শুরুর আগে ক্রেমলিন তাদের আনুষ্ঠানিক অবস্থান সম্পর্কে আগাম কিছু জানায়নি।সোমবার পঞ্চম দিনে পড়ল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আলোচনা শুরুর আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা আলোচনা শুরুর অপেক্ষায় রয়েছি। আমি আলোচনার ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান কী হবে, তা এখনও জানাতে চাই না।
আরও পড়তে পারেন: পুতিন কি শেষতক পারমাণবিক শক্তির প্রয়োগ ঘটাবেন?
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। সোমবার দেশটির ৪টি শহরে দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। হামলা শুরুর পর থেকে গত চার দিনে আনুমানিক ৫ হাজার ৩০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন সরকার।
সোমবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ইউক্রেন সরকারের এই দাবি নিশ্চিত করতে পারেনি বিবিসিসহ পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম।