ইউক্রেনের অন্যতম বন্দরনগরী মারিউপোলে কার্য্যালয় খুলেছেন ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বাধীন রাশিয়ার ক্ষমতাসীন দল-ইউনাইটেড রাশিয়া। স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে মারিউপোল কাউন্সিল এ তথ্য জানিয়েছে।
কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়, এক টেলিগ্রাম পোস্টে কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মারিউপোলের মেট্রো শপিং সেন্টারে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দলের অফিস অবস্থিত।
আলজাজিরার খবরে আওর বলা হয়, ওই পোস্টে মারিউপোল কাউন্সিল আরও জানায়, ইউনাইটেড রাশিয়ার ওই অফিস পার্টির সংবাদপত্র বিতরণ করছে। পাশাপাশি রাশিয়ার জন্য আন্দোলন করে এবং ফিনিক্স মোবাইল অপারেটরের কার্ডও জারি করছে।
ইউক্রেনের বিখ্যাত বন্দর-শহর মারিউপোল কার্যত দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী। দীর্ঘদিন ধরেই শহরটি অবরুদ্ধ ছিল। রুশ সেনারা ওই শহর দখলে নেওয়ার পর পুতিনের দল ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড রাশিয়া তার অফিস খুললো।
রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অধীনে রয়েছে ইউক্রেনের ডনবাসের দোনেৎস্ক অঞ্চল। গত ২০১৪ সাল থেকে ওখানে এই ধরণের কাজ-ই করে আসছে এই কার্যালয়। তবে শুধু সংবাদপত্র বিতরণ-ই নয়। একইসঙ্গে রাশিয়ার জন্য আন্দোলন করা হয় এবং ফিনিক্স মোবাইল অপারেটর কার্ড জারি করা হয়। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে মারিউপোলে গেলে মনে হতে পারে, এটি হয়ত রুশ মূল ভূখণ্ডের কোনও অংশ।
প্রসঙ্গত, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় মস্কো-কিয়েভের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো।
তবে ওই কৌশল কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এর দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।