মহিমান্বিত ভাগ্য রজনী পবিত্র শবে বরাত

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ৭, ২০২৩, ১০:৩৬ এএম

মহিমান্বিত ভাগ্য রজনী পবিত্র শবে বরাত

বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর মহিমান্বিত ভাগ্য রজনী পবিত্র শবে বরাত আজ। পাপমুক্তি আর মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের রহমত অর্জনের পরম সৌভাগ্যময় এ রাত। আল্লাহ তায়ালার রহমত লাভের আশায় এ রাতে ইবাদত করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, “পবিত্র শবেবরাত মুসলমানদের জন্য মহিমান্বিত ও বরকতময় এক রজনী। এ উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ। সৌভাগ্যমণ্ডিত পবিত্র শবেবরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের উপর বর্ষিত হোক।”

তিনি বলেন, “মাহে রমজান ও সৌভাগ্যের আগমনী বারতা নিয়ে পবিত্র লায়লাতুল বরাত আমাদের মাঝে সমাগত। উপমহাদেশে শবেবরাত প্রধানত সৌভাগ্যের রজনী হিসাবে পালিত হয়। পবিত্র এ রজনী আল্লাহ্‌ তা’য়ালার বিশেষ অনুগ্রহ ও ক্ষমা লাভের অপার সুযোগ এনে দেয়। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। শবেবরাতের এই পবিত্র রজনীতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের প্রার্থনা জানাই।”

এদিকে, পবিত্র শবেবরাতের মাহাত্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ আসুন, সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।”

সরকারপ্রধান বলেন, মানবজাতির জন্য সৌভাগ্যের এই রজনী বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এ রাতে আল্লাহপাক ক্ষমা প্রদর্শন এবং প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন।” 
তিনি বলেন, “মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র শবেবরাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফিরাত।”
পবিত্র এই রজনীতে তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন। 

আরবী সাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতই মুসলমানদের কাছে শবেবরাত হিসেবে পরিচিত। ফারসি ‘শবে বরাত’ আরবিতে লায়লাতুল বরাত। সৌভাগ্যের রজনী। এ রাতে আল্লাহ মুসলমানদের পাপ থেকে মুক্তি দেন। এ রাতে মানুষের ভালো-মন্দের আমলনামা মহান আল্লাহর দরবারে তুলে ধরা হয়। আল্লাহতায়ালা আগামী এক বছরের জন্য তাঁর প্রিয় বান্দাদের হায়াত মউত রিজিক দউলত আর আমলের ফায়সালা দিয়ে থাকেন এ রাতে।

তাই আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত লাভের আশায় মসজিদ, মাদ্রাসা, ইবাদতখানা এবং ঘরে ঘরে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ রাতে নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত এবং জিকির আসকারসহ ইবাদত বন্দেগিতে মগ্ন থাকবেন।

 

ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহিমান্বিত এ রাতে জীবনের সব ভুল-ভ্রান্তি এবং পাপ-তাপের জন্য গভীর অনুশোচনায় আল্লাহর দরবারে সকাতরে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। বাঙালি মুসলিম সমাজে শবেবরাতের একটি আনন্দঘন সামাজিক দিকও রয়েছে।

Link copied!