সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নওরোজ রায়িদ আমিন (৩০) নামে এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। সোমবার (১১ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়া নিউ সাউথ ওয়েলস সুপ্রীম কোর্ট এ রায় ঘোষণা করেন বলে এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নওরোজ রায়িদ আমিন ২০১৫ সাল থেকে ২০১৬ সাল সময়ের মধ্যে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলঅমিক স্টেটের কট্টর সমর্থক ছিল। ওই সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের দুই ব্যক্তির সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। বাংলাদেশ ভ্রমণে যাওয়ার আগে নওরোজ তাদের জানান, ইসলামিক স্টেটে যাওয়ার পরিকল্পনার রয়েছে তার। ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসার সময় সিডনি বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।িএসময় তখন তার লাগেজে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহজনক জিনিসপত্র পাওয়া যায় বলেও জানানো হয় অস্ট্রেলিয়া পুলিশের পক্ষ থেকে।
অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ জানায়, নওরোজ আমিনের স্যুটকেসে ইসলামিক স্টেট (আইএস) প্রকাশিত সাময়িকী এবং সন্ত্রাসের তথ্য সংবলিত ইউএসবি ড্রাইভ পাওয়া যায়। পরে বিদেশি রাষ্ট্রের সীমানায় গিয়ে উগ্রবাদ কাজে লিপ্ত হওয়াসহ তার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ আনে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ।
নওরোজ আমিন সন্ত্রাসী কাজে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা এবং কাস্টমস আইন ভঙ্গের দায় স্বীকার করেছেন বলেও জানায় তারা।
অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার ইঙ্গেলবার্নে বসবাস করছিলেন নওরোজ আমিন । পরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াতে তিনি বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা করেন।
ওই ঘটনার পর ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে নওরোজ আমিনের স্ত্রী সাদিয়া আমিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, সাদিয়া আমিন নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী জামাতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য। নওরোজ আমিনই তাকে জঙ্গিবাদে দীক্ষা দেন।