এপ্রিল ২০, ২০২২, ০২:১৩ পিএম
টানা দুই দিন দফায় দফায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইফতারের সময় টেবিল বসানো নিয়ে নিউমার্কেটের দুটি খাবারের দোকানের কর্মীদের মধ্যে বিরোধ হয়। এই ঘটনা থেকেই বিরোধের সূত্রপাত বলে জানা গেছে।
সিসি টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ওয়েলকাম ফাস্ট ফুড নামের একটি খাবারের দোকানের কর্মচারী বাপ্পীকে মারধর করেন ক্যাপিটাল ফাস্ট ফুডের কাওসার। প্রতিশোধ নিতে বাপ্পী ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে কাওসারের ওপর হামলা করেন। কাওসারের লোকজন শিক্ষার্থীদের মারধর করে বের করে দেন। এর জরে ধরেই রাতে শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেটের দিকে এগিয়ে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
রাত ১১টার দিকে বাপ্পীর সমর্থক ১০-১২ জন যুবক আসেন নিউ মার্কেটে। এসময় তারা হাতে রামদা নিয়ে আসে। তারা ক্যাপিটাল দোকানটিতে গিয়ে কাওসারের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ায়। সেখানে কাওসার সমর্থকরা বাপ্পীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে মার্কেট থেকে বের করে দেয়। বাপ্পী সমর্থকরা মার্কেট থেকে পালিয়ে গিয়ে কিছুক্ষণ পর ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি দলকে নিয়ে এসে মার্কেটে হামলা চালায়।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে গুজব ছড়ানো হয় যে, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা হামলা করেছে। উত্তাল এই পরিস্থিতিতে এককভাবে শুধু ছাত্রদের দায়ী করছে না ব্যবসায়ী সমিতিও।
ঘটনার নেপথ্যের কারণ জানতে চাইলে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে আমাদের গোয়েন্দা টিমও মাঠে কাজ করে। পাশাপাশি একাধিক ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের বক্তব্যও নেওয়া হয়। তবে কারণ যেটিই হোক না কেন পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এ ঘটনায় আজ বুধবার মামলা হবে। অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও আহত-নিহতের ঘটনায় একাধিক মামলায় একাধিক আসামি করা হতে পারে।