মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় ফেরি ‘আমানত শাহ’ উদ্ধারে বেসরকারি কোম্পানির সাহায্যে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক (উদ্ধার) মো. ফজলুল রহমান রবিবার (৩১ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সরকারি উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ ও ‘রুস্তম’ বেশ কয়েক দফা চেষ্টা চালিয়েও ফেরিটি উদ্ধারে ব্যর্থ হয়।
জানা গেছে, চট্রগ্রামের প্রাইভেট কোম্পানি ‘জেনুইন এন্টারপ্রাইজ’ আংশিক ডুবে থাকা ফেরিটি উদ্ধারের দায়িত্ব পেয়েছে। জেনুইন এন্টারপ্রাইজের পৃথক ছয়টি উইনস্ বার্জ সোমবার থেকে ফেরিটি উদ্ধারে কাজ করবে।
মো. ফজলুল রহমান গণমাধ্যমকে জানান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে ফেরি উদ্ধারের যাবতীয় ব্যয় বিআইডব্লিউটিএ বহন করবে।
এদিকে, নৌপরবহন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ফেরিটি উদ্ধারে জেনুইন এন্টারপ্রাইজের মালিক বদিউল আলমের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে কর্তৃপক্ষের।
সবকিছু ঠিক থাকলে সোমবার থেকে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরি ঘাটের কাছে আংশিক ডুবে থাকা আমানত শাহকে উদ্ধারের প্রাথমিক কাজ শুরু হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট থেকে যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে পৌঁছানোর পর হঠাৎ করেই কাত হয়ে ডুবে পড়ে যায় আমানত শাহ নামের রো রো ফেরিটি। এ সময় ফেরিতে থাকা ১৭টি ট্রাক, একটি প্রাইভেটকার ও আটটি মোটরসাইকেলের মধ্যে তিনটি গাড়ি ফেরিঘাটে নিরাপদে নেমে যেতে পারলেও বাকি যানগুলো ফেরির সঙ্গেই ডুবে যায়।