তেঁতুলতলা মাঠের জমি কিনেছে ডিএমপি!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ২৬, ২০২২, ০৫:৪৭ পিএম

তেঁতুলতলা মাঠের জমি কিনেছে ডিএমপি!

সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই রাজধানীর তেঁতুলতলা মাঠে কলাবাগান থানা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। মাঠের জমি ২৭ কোটি টাকায় ক্রয় করা হয়েছে বলে ডিএমপি জানায়।

মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন একথা জানান।

ডিসি ফারুক বলেন, “সরকার ডিএমপিকে দেশের প্রচলিত সব আইন কানুন মেনে এই জমি বরাদ্দ দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিএমপি কোনো ব্যক্তির বা সংস্থার জমিতে বেআইনিভাবে থানা ভবন নির্মাণ করছে না।”

কলাবাগান থানার ওই জমি অধিগ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে জানিয়ে মো. ফারুক হোসেন গণমাধ্যমে বলেন,“ সরকারি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে রাজউকের কোনো আপত্তি নেই মর্মে ছাড়পত্র পাওয়া গেছে। মাঠের জায়গাটি প্রস্তাবিত ভূমি ব্যবহার আরবান রেসিডেন্সিয়াল জোন হিসেবে চিহ্নিত থাকায় নগর উন্নয়নের ছাড়পত্র এবং সরকারের প্রচলিত আইন ও নীতি অনুযায়ী অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনাপত্তিপত্র পাওয়া গেছে।” এ ছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্য এলাকাবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে স্থায়ীভাবে কলাবাগান থানা স্থাপনের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ডিও লেটার দিয়েছেন বলেও  তিনি জানান।

ফারুক হোসেন গড়ণমাধ্যমে আরও বলেন, “ঢাকার জেলা প্রশাসক সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে ওই জমি অধিগ্রহণের জন্য সুপারিশসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের মতামত দিয়েছেন এবং সরকারের কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটিতে কলাবাগান থানার জন্য ওই জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এরপর গত ৩১ জানুয়ারি ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ডিএমপিকে তেঁতুলতলা মাঠের জমির দখলভার হস্তান্তর করে।”

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি মাঠটিতে তারকাঁটার বেড়া দিয়ে বেষ্টনী তৈরি করে পুলিশ। খেলার মাঠ হিসেবে পরিচিত জায়গাটি কলাবাগান থানা ভবন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে থানা ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেন আসছেন এলাকাবাসী।তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার অন্যতম আন্দোলনকারী ও সমাজকর্মী সৈয়দা রত্না এবং তার ছেলে ঈসা আব্দুল্লাহকে আন্দোলনরত অবস্থায় গত ২৪ এপ্রিল সকালে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। সারা দিন তীব্র প্রতিবাদের মুখে মধ্যরাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এই মাঠ রক্ষায় এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ও বিশিষ্টজনেরাও প্রতিবাদ ও মানববন্ধন চালিয়ে যাচ্ছেন সেখানে। তারা দাবি করছেন, খেলার মাঠে থানা ভবন করা যাবে না। আর যদি করতে হয়, তাহলে বিকল্প খেলার মাঠের ব্যবস্থা করতে হবে।

Link copied!