ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করে নড়াইলের এক কলেজ শিক্ষার্থীর বিতর্কিত মন্তব্যে ওই কলেজের অধ্যক্ষকে লাঞ্জিত করার ঘটনায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবিরকে প্রত্যাহার করে খুলনায় রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) সংযুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার রাতে ওসি শওকত কবীরকে প্রত্যাহার করা হয় বলে নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবিরকে প্রত্যাহার করে খুলনায় রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) সংযুক্ত করা হয়েছে।ছবি: সংগৃহীত
রবিবার সকালে সাংবাদিকদের প্রবীর কুমার রায় বলেন, “খুলনা উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) কার্যালয় থেকে তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাত ১১টার দিকে এ-সংক্রান্ত খবর পাওয়া গেছে। শওকত কবীরকে নড়াইল সদর থানা থেকে খুলনায় রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মাহামুদুর রহমানকে ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
প্রত্যাহারের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, এটি ডিআইজি বলতে পারবেন। আমি শুধু ক্লোজ (প্রত্যাহার) হওয়ার ম্যাসেজ পেয়েছি।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুন সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্র বিতর্কিত মন্তব্যকারী ভারতের বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। এতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তোলেন ওই কলেজের ছাত্র ও স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। একই ধর্মের হওয়ায় তাকে সাপোর্ট দিচ্ছে- এমন অভিযোগ তুলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত কলেজছাত্রের সঙ্গে আটক করা হয় অধ্যক্ষকে। ওই দিনই থানা হাজত থেকে অধ্যক্ষকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনার পর দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
পরে এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শেখ মোরছালিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ১৭০ থেকে ১৮০ জনকে আসামি করে নড়াইল থানায় মামলা করেন। মামলা করার পর সোমবার রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।