মার্চ ২৮, ২০২৫, ০৩:১১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য নতুন করে আরও ৭৩ কোটি ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ১০ লাখ রোহিঙ্গার খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা হিসেবে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে এই সহায়তা দেওয়া হবে।
পোস্টে ট্যামি ব্রুস লেখেন, “ডব্লিউএফপির মাধ্যমে এই সহায়তা ১০ লাখের বেশি মানুষকে খুবই প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা দেবে। আমরা আন্তর্জাতিক অংশীদারদেরও এ ধরনের জীবন রক্ষাকারী সহায়তার মাধ্যমে চাপ ভাগ করে নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।”
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তীব্র দমনপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা এখনো শরণার্থী শিবিরেই দিন কাটাচ্ছে। এ শরণার্থীদের ৯৫ শতাংশ এখনও মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, বলছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা।
এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সবচেয়ে বেশি সহায়তাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রই। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত তারা রোহিঙ্গাদের সহায়তায় প্রায় ২৪০ কোটি ডলার দিয়েছে।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিদেশে মার্কিন সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে থাকা ইউএসএআইডির ৮০ শতাংশের বেশি কর্মসূচি বাতিল করা হয়। সে সময় রোহিঙ্গাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সহায়তাও বন্ধ হওয়ার গুঞ্জন উঠে।
ইউএসএআইডি গুটিয়ে আনার কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা মার্কিন প্রশাসনের এক প্রভাবশালী কর্মকর্তা সঙ্কট-জর্জরিত লেবানন ও বিশ্বের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলেও সম্প্রতি রয়টার্সের এক খবরে জানানো হয়।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ইউএসএআইডির ভারপ্রাপ্ত উপপ্রশাসক পিটার মারক্কোর লেখা এক ইমেইলে তার এ আকাঙ্ক্ষা ফুটে উঠেছিল। একই ইমেইলে তিনি মার্কিন সাহায্যের জন্য রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও লেবাননের কাছ থেকে কৃতজ্ঞতার প্রকাশও দেখতে চেয়েছিলেন বলে মনে হচ্ছে।
মারক্কো ওই ইমেইলে ইউএসএআইডির মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বিষয়ক ব্যুরোর প্রধান টিম মেইজবার্গারকে একটি ‘অ্যাকশন মেমোর’ খসড়া করতে বলেছিলেন, যার মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ও লেবাননের মার্কিন সাহায্যের ওপর ‘অস্বাভাবিক নির্ভরতার’ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর নজর কাড়া যায়।
অবশ্য তার আগেই রুবিও ২৪ জানুয়ারি রোহিঙ্গা শরণার্থী ও লেবাননে খাদ্য সহায়তার ক্ষেত্রে এই স্থগিতাদেশে ছাড় দিয়েছিলেন।
তারও চারদিন পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ছাড়ের তালিকায় আসে সকল জীবন-রক্ষাকারী ওষুধ, চিকিৎসা সেবা, খাদ্য ও আশ্রয় সহায়তা।