হাত-পায়ের ওপর দীর্ঘক্ষণ চাপ পড়লে বা একই ভঙ্গিতে শুয়ে-বসে থাকলে সাময়িক অসাড় অনুভূতি হয়। পেশির এই সাময়িক অসাড়তাকে ঝিঁঝিঁ ধরা বলা হয়। কেতাবি ভাষায় একে টেম্পোরারি প্যারেসথেশিয়া বলে। ইংরেজিতে বলে পিনস অ্যান্ড নিডলস।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের প্রায় ৪৭ শতাংশ মানুষ এই ভিটামিনের অভাবে ভুগছে। বিশেষত, যাঁরা নিরামিষ খাবার খান, তাঁদের মধ্যে এই ঘাটতি বেশি দেখা যায়।
কেন দরকার ভিটামিন বি ১২
১) রক্তকণিকা ও স্নায়ুকোষের স্বাস্থ্য রক্ষায়
২) ডিএনএ ও জিনগত উপাদান তৈরিতে
৩) হাড় ভাল রাখতে
৪) চুল, নখ ও ত্বক ভাল রাখতে
৫) মানসিক অবসাদ কমাতে
ভিটামিন বি ১২ পাওয়া যায় যেসব খাবারে
নিরামিষ খাবারে এই ভিটামিনের পরিমাণ কিছুটা কম থাকে। প্রাণিজ খাবারে অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে ভিটামিন বি১২ থাকে। ডিম, মাশরুম, বিভিন্ন ধরনের মাংস ও মেটে, সামুদ্রিক মাছের মতো খাবার ভিটামিন বি১২-এর সমৃদ্ধ উৎস। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি খাবারে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। যাঁরা নিরামিষ খান, তাঁরাও সেগুলি অনায়াসে খেতে পারেন। প্রাণিজ প্রোটিনের মধ্যে রেড মিট, মুরগির মাংস, সামুদ্রিক মাছ, দুধ, দই, ছানা ও ডিমে ভাল মাত্রায় এই ভিটামিন পাওয়া যায়।
এই ভিটমিনের অভাবে শরীরে বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। জেনে নিন সেগুলি কী কী?
১) ভিটামিন বি১২ শরীরে স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে পায়ে ঝিঁঝি ধরার মতো সমস্যা হয়। এ ছাড়া, দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে অনেকের পা অসাড় হয়ে যায়, এটিও কিন্তু শরীরে বি১২ ভিটামিনের ঘাটতির লক্ষণ। এই ভিটামিনের ঘাটতির কারণে স্মৃতিশক্তিও লোপ পায়।
২) শরীরে ক্লান্তিভাব, যে কোনও কাজ করার প্রতি অনীহাও এই ভিটামিনের অভাবের কারণেও হতে পারে।
৩) এ ছাড়া নিশ্বাস নিতে অসুবিধা, ত্বক বিবর্ণ হয়ে যাওয়া, হৃদ্স্পন্দন বেড়ে যাওয়াও কিন্তু শরীরে ভিটামিন বি১২-এর অভাবের লক্ষণ।
৪) শরীরে ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতি হলে শরীর ত্বক প্রাথমিক ভাবে বিবর্ণ দেখায়। জন্ডিস কিংবা অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
৫) মুখে ঘন ঘন আলসার হলেও সতর্ক হন। এটিও কিন্তু শরীরে ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।
সূত্র: আনন্দবাজার