ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে রুশ সামরিক বাহিনীর একের পর এক হামলার কারণে ক্রমশ কাবু হয়ে পড়ছে ইউক্রেন। পানি ও বিদ্যুতের সংকট বেড়েই চলেছে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে। বিদ্যুৎ চাহিদার ৫০ শতাংশও পূরণ করতে সক্ষম হচ্ছে না ইউক্রেন।
তুষার এবং উপ-শূন্য তাপমাত্রাসহ শীত শুরু হওয়ায় হাইপোথার্মিয়ায় পুরো ইউক্রেনের মানুষ মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাজধানী কিয়েভসহ ১৫টি অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ নিয়ে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো রুশ হামলার জেরে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির শিকার হওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। বিবিসি ইউক্রেনীয়কে তিনি বলেছেন, তেমন কিছু হলে ইউক্রেনের রাজধানী শহরটিকে বিদ্যুৎ, তাপ এবং পানি ছাড়াই থাকতে হবে।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ধীরে ধীরে দেশের সকল অঞ্চলে বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কাজ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় রোমান নামেত কিয়েভের একজন বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, ‘ধীরে ধীরে পানি আসছে। বিদ্যুৎ নেই এখনও।’
পরে তিনি বলেন, ‘অবশেষে, তারা (কর্তৃপক্ষ) বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে - সেটিও ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পরে।’
আরেক বাসিন্দা টোনিয়া বলেন, ৪৮ ঘণ্টা ধরে তার বিদ্যুৎ নেই। তার ভাষায়, ‘আজ আমার কাছে পানি আছে, এবং সেটিও বেশ দুর্বল সংযোগ। কিন্তু এখনও বিদ্যুৎ এবং তাপ নেই।’
পাওয়ার অপারেটর ইউক্রেনারগো বলেছে, অগ্রাধিকার মূল অবকাঠামো ঠিক করা। কিন্তু মেরামত এখন আরও বেশি সময় নিচ্ছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। মূলত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার সংযোগকারী ইউরোপের বৃহত্তম রেল ও সড়ক সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের প্রতিশোধ হিসেবে গত ৮ অক্টোবর থেকে ইউক্রেনের জ্বালানি নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামোগুলোতে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া।
যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া গত সপ্তাহেই ইউক্রেনে সবচেয়ে ভারী বিমান হামলা চালায় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ওই হামলায়ও ইউক্রেনীয় জ্বালানি অবকাঠামো এবং বেসামরিক ভবনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
সূত্র: বিবিসি