৩০ বছর পর সিনেমা চলল সোমালিয়ার হলে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১, ০৭:২৭ পিএম

৩০ বছর পর সিনেমা চলল সোমালিয়ার হলে

৩০ বছর পর হলে সিনেমা দেখার সৌভাগ্য হলো সোমালি দর্শকদের। মোগাদিসুর ন্যাশনাল থিয়েটারে দেশটির চলচ্চিত্র নির্মাতা ইব্রাহিম সিএমের দুইটি শর্টফিল্ম ‘হুস’ এবং ‘ডেট ফ্রম হেল’ প্রদর্শিত হয়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এই সিনেমা দুটি প্রদর্শিত হয়।

থিয়েটারের পরিচালক আব্দিকাদির আব্দি ইউসুফ এপ্রসঙ্গে বলেন,‘আজকের এই রাত সোমালি জনগণের জন্য এক ঐতিহাসিক রাত। বহু বাঁধা পেরিয়ে এই প্রদর্শনি আমাদের পুনর্জাগরণের আশা দেখাচ্ছে’।

তিনি আরো বলেন, ‘এই প্লাটফর্ম সোমালি লেখক, গায়ক, নির্মাতা এবং অভিনেতাদের প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করবে’।

১০ ডলারের একটি টিকিটের বিনিময়ে শর্টফিল্ম দুটি দেখার অনুমতি দর্শকরা। নিরাপত্তার কারণে তাদের বেশ কয়েক ধাপের তল্লাশী পেরিয়ে হলে ঢোকার অনুমতি পান।

ওসমান ইউসুফ উসমান নামে এক দর্শক তার অতীত রোমন্থন করে বলেন, ‘অনেক আগে আমার যৌবনে ন্যাশনাল থিয়েটারে বিভিন্ন নাটক, পপ শো, লোক নৃত্য এবং সিনেমা দেখতাম। বর্তমানে মোগাদিসুতে রাতে প্রাণচাঞ্চল্য থেমে যায় এটা আমাকে বেশ দুঃখ দেয়। তবে দেরিতে হলেও একটি শুভ সূচনা হলো এটি’।

হাকিমো মোহামেদ নামে এক নারী বলেন, ‘প্রথমবার যখন আমি এই থিয়েটারে আসি তখন আমি কেবল স্কুলে পড়ি’। ৩০ বছর আগে যখন এটি বন্ধ হয়ে যায় তার আগে এখানে রাতে বিরেতে মানুষের আনাগোনা এবং থাকতো’। মোগাদিসুর আর নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে হাকিমো বলেন, ‘এখন গভীর রাতের মোগাদিসু আর আগের মতো নিরাপদ নয়’।

১৯৬৭ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট মাও সে তুংয়ের পক্ষ থেকে সোমালিয়াকে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে একদল চীনা প্রকৌশলী এই থিয়েটার নির্মাণ করে দেন। ১৯৭০ এবং ৮০ এর দশকে এই থিয়েটার সোমালিয়ার সাংস্কৃতিক কর্মাকান্ডের প্রাণকেন্দ্র ছিল।  পরে ১৯৯১ সালে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি বন্ধ হয়ে যায়। ক্রমে এই থিয়েটার দেশটির যুদ্ধবাজ নেতাদের আখড়ায় পরিণত হয়।

পরে ২০১২ সালে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে থিয়েটারটি মেরামত করে চালু করার কয়েকদিন পরেই তা আবারো আল শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠী বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়।

Link copied!