দেশবরেণ্য শাস্ত্রীয় শিল্পীদের নিয়ে জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে ১৪ ও ১৫ জুলাই দুদিন ব্যাপী থাকছে শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব।
শাস্ত্রীয় সংগীত এবং নৃত্য অতি প্রাচীন শিল্প এবং এর পেছনে রয়েছে তিন হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্য যা বর্তমান সময়ে প্রচলিত সকল ধরনের সংগীত এবং নৃত্যের অন্যতম ভিত্তি। প্রাচীন পন্ডিতগণ নান্দনিক উপভোগের জন্য শারীরিক উদ্দীপকগুলি যত্ন সহকারে অধ্যয়ন করে আবেগের প্রকৃতি এবং ভাব বিশ্লেষণ করে গেছেন; বিশ্লেষণ করেছেন এই ধরনের আবেগের দৃশ্যমান লক্ষণ এবং প্রতিক্রিয়া; এমনকি অবচেতন মনের প্রকৃতি,অনৈচ্ছিক আবেগ (সাত্ত্বিকভাব)। তাঁরা শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যের মাধ্যমে প্রকাশ ঘটান এ আবেগের।
শাস্ত্রীয় সংগীত এবং নৃত্য কেবল ব্যাকরণ নয়, এটি একটি বিস্তৃত পরিপূর্ন শিল্প মাধ্যম যা সৌন্দর্য এবং শক্তির সূক্ষ্ণ প্রকাশ ঘটায়। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং নৃত্য এক প্রকার ধ্যান এবং প্রার্থনা যা আমাদের মনকে শান্ত রাখে। রাগ ও তাল শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং নৃত্যের ভিত্তি। কঠোর অধ্যবসায় এবং সাধনার মাধ্যমে একজন শিল্পী নিজেকে শাস্ত্রীয় সংগীত এবং নৃত্য পরিবেশনার উপযোগী করে গড়ে তোলেন।