এপ্রিল ৫, ২০২২, ০৫:২২ পিএম
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার মো. খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মালয়েশিয়ায় হাই কমিশনার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়। মঙ্গলবার দুদকের ঊর্ধতন এক কর্মকর্তা দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হাইকমিশনার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ কোটি ৫৮ লাখ ২৭ হাজার ৯১৩ টাকা আত্মসাৎ করেন খায়রুজ্জামান।
আত্মসাতের বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসার মো. মনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটির বিভাগীয় তদন্তেও প্রমাণিত হয়েছে। ওই তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মো. খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় সরাসরি মামলা অনুমোদন দেয় দুদক।
প্রসঙ্গত, খায়রুজ্জামান সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর। ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামি ছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর খায়রুজ্জামান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জেল হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে নাম এলে সে সময় ফিলিপিন্সের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে থাকা খায়রুজ্জামানকে দেশে ডেকে পাঠানো হয়। ওই বছর ২৪ সেপ্টেম্বরে তাকে গ্রেফতার করে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়।পরে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে জামিনে মুক্ত হন খায়রুজ্জামান। ২০০৩ সালের ৪ মে তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে তাকে হাইকমিশনার করে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়। ২০০৯ সালে তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। তবে ঝুঁকি মনে করে কুয়ালালামপুরেই থেকে যান খায়রুজ্জামান। সংগ্রহ করেন জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড।