ঢাকা-১৭ উপ নির্বাচনের শেষবেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার পেছনে ভোট ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ করার চেষ্টা দেখছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং ন্যক্কারজনক ঘটনা। সামান্য একটু এ ধরনের অন্যায় কাজ করে (নির্বাচনকে) প্রশ্নবিদ্ধ করার যে অপপ্রয়াস, সেটা আমরা গ্রহণ করতে পারি না।’
মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন মো. আলমগীর।
নির্বাচন কমিশনার আলমগীর আরও বলেন, সাথে সাথে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সাথে কথা বলেন। জরুরি ভিত্তিতে ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা এবং অন্যান্য সাক্ষী নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানোর জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
নিরাপত্তা দিতে না পারার এই ব্যর্থতা কার— এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশন সার্বিক দায়িত্বে থাকে। সরাসরি ‘প্রকেটশন’ দেওয়ার সুযোগ নেই। এই প্রটেকশন দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। সেটা পুলিশ কমিশনার দেখবেন কারও কোনো দায়িত্বে অবহেলা আছে কি না। অনীহা ছিল কি না, এগুলো দেখে তাঁরা বিভাগীয় ব্যবস্থা বিষয়ে ইসিকে জানাবেন।
মো. আলমগীর বলেন, ‘ব্যালটে আমরা ভোট করেছি, এতে স্ট্যাম্পিং হয় নাই। যেটা নিয়ে আমরা বেশি ভয় পেয়েছিলাম। এর কারণে কোনো বিশৃঙ্খলা বা অঘটন ঘটেনি। সেদিক দিয়ে সাকসেস।’
ভোট পড়ার হার কম কেন— এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘ভোট পড়ার হার কেন কম তা আপনারা বিশ্লেষণ করবেন। এতে আমরা আরও ভালোভাবে জানতে পারব। ইসির কোনো ত্রুটি ছিল না। টার্ন আউট আরও বেশি হলে ভালো হতো, ওই ঘটনাটা ছাড়া আমরা সন্তুষ্ট। তবে ইসি তো ভোট আর জোর করে নিতে পারে না। যেমন অস্ট্রেলিয়ায় ভোট দিতে না গেলে ৫০ ডলার জরিমানা করে। সেটা তো আর আমরা করতে পারি না।’
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৭ জুলাই) ভোটের শেষ দিকে বেলা ৩টার পরে বনানী বিদ্যা নিকেতন কেন্দ্রের বাইরে হিরো আলম হামলার শিকার হন।