আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে গুম-খুনের বিষয়ে সরকারের কাছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন চাওয়ার ক্ষমতা থাকলেও তদন্ত করার ক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। এ ব্যাপারে আইন সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অফিসে তিনি এ তথ্য জানান।
নাছিমা বেগম বলেন, “আমরা গুম-খুনের বিষয়ে তদন্ত করতে পারি না। কেবল সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন চাইতে পারি। এবিষয়ে আমরা আইন পরিবর্তনের সুপারিশ করেছি, যাতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এসব বিষয়ে তদন্ত করতে পারে।”
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান মহাপরিচালকসহ ছয় কর্মকর্তার নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক কোনও উদ্দেশ্য আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবেদন দেওয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীরা এবিষয়ে দেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেছিল। রবিবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর গত ১০ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও পররাষ্ট্র দপ্তর পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই কর্মকর্তাদের মধ্যে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এবং বর্তমান আইজিপি বেনজীর আহমেদও রয়েছেন। এ ছাড়া র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পৃথক এক ঘোষণায় বেনজীর আহমেদ এবং র্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।