ডিসেম্বর ৩, ২০২৪, ০২:৪৪ পিএম
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের টানা পনেরো বছরে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সেবাখাতে ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয়েছে। এছাড়া সেবাখাতে ২০২৩ সালে সার্বিকভাবে ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ খানা দুর্নীতির শিকার হয়েছে। সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত তিনটি খাত হচ্ছে পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা।
এছাড়া একই বছর সার্বিকভাবে ঘুষের শিকার হওয়া খানার হার ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে সার্বিকভাবে খানাগুলো ৫ হাজার ৬৮০ টাকা ঘুষ তথা নিয়মবহির্ভূত অর্থ দিতে বাধ্য হয়েছে। গড় ঘুষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বিচারিক সেবা, ভূমি সেবা ও ব্যাংকিং খাতে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রকাশিত ‘সেবাখাতে দুর্নীতি জাতীয় খানা জরিপ ২০০৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: বল প্রয়োগ করলে পুলিশের শাস্তির পক্ষে ৭১.৫% মানুষ
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির পক্ষ থেকে নয় দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘টিআইবি’র ১০টি জরিপে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সেবাখাতের ঘুষ লেনদেনের পরিমাণ জানা গেছে।’
‘দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক বিষয়ে যত কম বলা যায় ততোই ভালো’ বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন অকার্যকর এটা বাংলাদেশের সবাই জানে। এখন পৃথিবীর সবাই এটা জানছে।’
তিনি বলেন, দুদক সম্পর্কে ৩০ শতাংশ মানুষ জানলেও অভিযোগ করেন মাত্র শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয় দুদকের প্রতি মানুষের আস্থা নেই। এই বিষয়ে দুদকের দায়িত্বশীলতাও প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন।
যেসব প্রতিষ্ঠানের সংস্কার জরুরি তার মধ্যে দুদক অন্যতম প্রধান একটি প্রতিষ্ঠান বলেও তিনি মনে করেন।