ছবি: সংগৃহীত
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। অভিযোগগুলো হলো—উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূলের নির্দেশ, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা, রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যা।
শেখ হাসিনার পাশাপাশি মামলার অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিন আসামির মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান পলাতক এবং বর্তমানে ভারতের অবস্থানে রয়েছেন।
এই মামলার রায় আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ঘোষণা করা হবে। গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটি প্রথম মামলা, যার রায় প্রকাশ পেতে যাচ্ছে। বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল—বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী—এই রায় দেবেন। রায় ঘোষণার কার্যক্রম এজলাস থেকে সরাসরি সম্প্রচার করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গতকাল রবিবার ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগ তাঁরা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে ট্রাইব্যুনাল যে আদেশ দিক না কেন, প্রসিকিউশন সেটা মেনে নেবে।
তিনি আরও জানান, ট্রাইব্যুনালের অনুমতি সাপেক্ষে রায়ের যে অংশটি এজলাসে পড়ে শোনানো হবে, সেটুকু সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য ইতোমধ্যে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার বলেন, রায়ে যদি ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে শাস্তি প্রদান করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলে আরেকটি ‘কনভিকশন ওয়ারেন্টের’ আবেদন করা হবে।