ছবি: সংগৃহীত
২০২৬ সালের হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. তফিকুল ইসলাম রবিবা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, আগামী হজ মৌসুমে ৭৮,৫০০ জন বাংলাদেশি হজ পালনের সুযোগ পাবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিবন্ধিত হজযাত্রীরা এখন পাসপোর্ট নম্বর ব্যবহার করে হজ পোর্টাল (hajj.gov.bd) থেকে তাদের তথ্য যাচাই করতে পারবেন। এছাড়াও হজ সংক্রান্ত তথ্য বা নিবন্ধন যাচাইয়ের জন্য হজ কল সেন্টার ১৬১৩৬ চালু রয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজ নিবন্ধন শেষ হওয়ায় এখন ধাপে ধাপে হজ প্যাকেজ, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্য জানানো হবে।
চলতি বছর সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ থেকে ১,২৭,১৯৮ জনকে হজের সুযোগ দিয়েছিল, তবে ৮৭,১০০ জনই নিবন্ধন করেছিলেন। এজন্য আগামী বছরের হজের কোটায় চলতি বছরের তুলনায় ৪৮,৬৯৮ জন কমানো হয়েছে। ২০২৪ সালে খরচ বৃদ্ধির কারণে প্রায় ৩৩ শতাংশ কোটাও পূর্ণ হয়নি, হজে গিয়েছিলেন ৮৫,২৫৭ জন।
সৌদি সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা ১২ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছিল, পরে চার দিন বৃদ্ধি করা হয়।
বেসরকারি ব্যবস্থায় হজে যেতে আগ্রহীদের জন্য হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বিশেষ প্যাকেজ (খাবার ও কোরবানিসহ) ৭,৫০,০০০ টাকা, সাধারণ প্যাকেজ ৫,৫০,০০০ টাকা, এবং সাশ্রয়ী প্যাকেজ ৫,১০,০০০ টাকা।
সরকারি ব্যবস্থায় তিনটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে: প্যাকেজ-১: ৬,৯০,৫৯৭ টাকা, প্যাকেজ-২: ৫,৫৮,৮৮১ টাকা, প্যাকেজ-৩: ৪,৬৭,১৬৭ টাকা। এছাড়াও, বেসরকারি সাধারণ হজ প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৫,০৯,১৮৫ টাকা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের হজ ২৬ মে ২০২৬ থেকে অনুষ্ঠিত হতে পারে।