‘আমি খুব করে বাঁচতে চেয়েছি’, চিরকুটে লিখে রাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ১২, ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম

‘আমি খুব করে বাঁচতে চেয়েছি’, চিরকুটে লিখে রাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংলগ্ন একটি বাসা থেকে সোনিয়া সুলতানা নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

বুধবার সকালে রাজশাহী নগরের মির্জাপুর এলাকার ‘ইসলাম টাওয়ার’ আবাসিক ভবনে নিজ বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ‘আমাকে ক্ষমা করে দিও’ লেখা একটি চিরকুটসহ দুটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মৃত সোনিয়া সুলতানা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা থানা এলাকায়।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন,

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তবে আমরা পৌঁছানোর আগেই তার বাবা লাশ নামিয়ে ফেলেছিলেন। যে কাপড়টি দিয়ে তিনি ফাঁস দিয়েছিলেন, সেটি ফ্যানের সঙ্গে বাঁধা ছিল। আনুমানিক সকাল ৬টার দিকে তিনি মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার মা প্রথমে লাশ দেখতে পান।

ওসি আরও জানান,

ঘটনাস্থল থেকে দুটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। একটিতে লেখা ছিল— ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমার যেন পোস্টমর্টেম করা না হয়। আব্বু-আম্মু ধ্রুবতাঁরা আমি খুব ভালোবাসি। আমাকে ক্ষমা করে দিও। আল্লাহকে বলো আমাকে মাফ করে দিতে।’

অন্য চিরকুটে লেখা ছিল— ‘আমি খুব করে বাঁচতে চেয়েছি বিশ্বাস করো তোমরা; কিন্তু নিজের সাথে যুদ্ধ করে আর পেরে উঠলাম না। আল্লাহ তুমি আমাকে মাফ করে দিও। আমাকে...’

ওসি আবদুল মালেক বলেন,

পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই এবং তারা ময়নাতদন্ত করাতে চান না। প্রাথমিকভাবে আমরা এটিকে আত্মহত্যা হিসেবেই দেখছি।

শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আখতার বানু বলেন,

সোনিয়া ভোরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার বাবা-মা তখন বাসায়ই ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওড়নাটি ও রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে।

তিনি আরও বলেন,

সোনিয়া ভালো ছাত্রী ছিল, সব বিষয়ে ভালো ফল করত। গতকালও তার ভাইভা ছিল, সেটাও ভালো হয়েছে। সে খুবই ধার্মিক ছিল, পর্দা করত। জানা গেছে, মারা যাওয়ার আগে সে মায়ের সঙ্গে ফজরের নামাজও পড়েছিল।

Link copied!