ছবি: সংগৃহীত
ভোটকে ভয় পাওয়ার কারণে আনুপাতিক ভোট (পিআর)সহ নানা দাবির মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের সময় পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ে সাংগঠনিক সফরের তৃতীয় দিনে বড়গাঁও ইউনিয়নের বাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, `ভাই, ভোটকে এত ভয় পাচ্ছ কেন? কারণ তুমি জানো যে, ভোট হলে তোমার অস্তিত্ব থাকবে না। এই কারণে তুমি ভোটকে এত ভয় পাও, নির্বাচনকে এত ভয় পাও।`
জামায়াতের পিআর পদ্ধতি চালুর চাপের প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, `এলাকায় একটাও এনসিপি নেই। তাহলে তাদের ভোটটা হবে কীভাবে? ওরা তো ভোটই পাবে না। এজন্য ওরাও সুর মিলিয়ে বলে যে, পিআর-এ ভোট দিতে হবে, সনদ তৈরি করা হবে—এগুলো হচ্ছে শুধু বিভ্রান্ত করা, ভোট পেছানো এবং ওই আগের ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া।`
বিএনপির দীর্ঘ দিনের ভোট ব্যবস্থার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, `আমরা এইটার সঙ্গে সম্পর্কিত নই। এটা আমরা চিনি না। আমরা দীর্ঘকাল, শত শত বছর ধরে ভোট দিয়ে আসছি—আমার এমপি ক্যান্ডিডেট একজন দাঁড়াবে, তাকে, তার মার্কা দেখে আমি ভোট দিব। তাই না? এটাই তো হয়ে আসছে। কারও দাঁড়িপাল্লা, কারও নৌকা তো, কারও ধানের শীষ। যাকে পছন্দ হবে তাকে ভোট দিব।`
ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারকারীদের তিনি `মুনাফিক` আখ্যা দিয়ে সতর্ক করে বলেন, `যারা এই সমস্ত মুনাফেকি করে, তাদের কাছ থেকে আমাদেরকে সাবধান থাকতে হবে। এটা ইসলাম ধর্ম নয়।`
ভোট ও দায়িত্ব নিয়ে সরকারকে সতর্ক করে তিনি বলেন, `আমরা এই সরকারকে খুব পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, যে দীর্ঘ নয় মাস আপনি যে সংস্কারের নাম করে সব রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কথাবার্তা বললেন এবং একটা একমত হলেন অনেকগুলো বিষয়ে, সেই একমত হওয়া বিষয়ের বাইরে আপনি কোনো কিছু যদি গায়ের জোরে এদেশের মানুষের ওপর চাপায় দিতে চান, তাহলে সব দায়-দায়িত্ব আপনার, এদেশের মানুষ তা গ্রহণ করবে না।`
তিনি আরও বলেন, বিএনপি শুধুমাত্র জুলাই সনদের পক্ষেই থাকবে এবং অন্য কোনো ব্যাপারে দায় নেবে না; এর দায় সরকারকে নিতে হবে।