বেটা
ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম খুনের ঘটনায় ২৫ থেকে ৩০ জন অংশ নেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে চার জন কোপানোয় অংশ নেন বলেও জানায় তারা।
ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ ইতিমধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
দৈনিক প্রথম আলো অনলাইনের এক প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী এসব তথ্য দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরীর বরাতে বলা হয়, ‘আইনজীবী হত্যাকাণ্ডে ২৫ থেকে ৩০ জন অংশ নিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ভিডিও ফুটেজ ও গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে জানা গেছে। এদের বেশির ভাগকেই পুলিশ শনাক্ত করেছে। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
জড়িত আসামিদের রাজনৈতিক কোনো পরিচয় পাওয়া গেছে কি না এ বিষয়ে ওসি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনো পাওয়া যায়নি।
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা তিন মামলায় গতকাল আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তাঁরা হলেন রাজীব, ববি চৌধুরী, আবদুল কাইয়ুম, কৌশিক চৌধুরী, আবির দে, রবিন দাশ ও জুয়েল দাশ। এ নিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫।
আইনজীবী সাইফুল হত্যার ঘটনায় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। তবে রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হত্যা মামলা হয়নি।
প্রথম আলো সূত্রে বলা হয়, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের সংগ্রহ করা ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আইনজীবী সাইফুলকে কোপান ওম দাশ, চন্দন ও রনব। তার নিথর দেহ পড়ে থাকলেও লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন অন্যরা। সেখানে আরও ছিলেন ২৫-৩০ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে রমিত দাস, সুমিত দাস, গগন দাস, নয়ন দাস, বিশাল দাস, আমান দাস, মনু মেথর ও রাজীব ভট্টাচার্যকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বেশির ভাগই পরিচ্ছন্নতাকর্মী। একজন রয়েছেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার থেকে সেবক কলোনির বেশির ভাগ বাসিন্দা ঘরে নেই। গতকাল বিকেলে সেখানে গিয়ে কয়েকজনকে দেখা যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার সঙ্গে কয়েকজন জড়িত থাকলেও এখন সবাই বিপদে পড়েছেন। নিরীহ কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেই দাবি জানান তারা।
এর আগে মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর হয়। এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গনে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত হন।
এদিকে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ ছিল আদালতের কার্যক্রম। আগের দিনের মতো গতকালও চট্টগ্রামের ৭৪টি আদালতে কোনো শুনানি হয়নি। সকালে জেলা আইনজীবী সমিতির পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। কালো ব্যাজ ধারণ করে প্রতিবাদ জানান আইনজীবীরা।
