ইসলামী সুন্নি বক্তা মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদি গ্রেপ্তার দাবি করে ফেসবুক পোস্ট ও পাশে মাওলানা শোয়াইব আহমদ আশ্রাফী। ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি জনপ্রিয় সুন্নি ইসলামী বক্তা মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদির গ্রেপ্তার দাবি করে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছেন মাওলানা শুয়াইব আহমেদ আশ্রাফী নামে আরেক ইসলামী বক্তা।
সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি তার ভেরিফাইড ফেসবুকে মাওলানা আশ্রাফী লেখেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ‘ভন্ড আলাউদ্দিন জিহাদী’-কে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যাথায় ছাত্র জনতা ও আলেম সমাজকে নিয়ে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে বাধ্য হবো। তার সহযোগী কোন ফ্যাসিস্ট দোসরকে ছাড় দেয়া হবে না ইনশাআল্লাহ।”
তার এই পোস্টের কমেন্টে এর প্রতিবাদ করতে দেখা যায় অনেককে। অনেকে কমেন্টে জানিয়েছে, “কওমীরা হলো আওয়ামী লীগের দালাল, কারণ তারা কওমী জননী উপাধী দিয়েছে।” আরেকজন কমেন্ট করে জানান, “এক আলাউদ্দিন কওমী জামাতের আতঙ্ক। এজন্য বারাবার আলাউদ্দিনকে বন্দী করার চেষ্টায় লিপ্ত!”
এ বিষয়ে মাওলানা শুয়াইব আহমেদ আশ্রাফী বলেন, “আলাউদ্দিন জিহাদি তার একাধিক বক্তব্যে আয়নাঘর নেই এমন কথা বলেছেন। সে কিভাবে এই ধরনের কথা বলে সে কি আয়না ঘরে গিয়েছে! সে আওয়ামীলীগের পক্ষে কথা বলে ও আয়নাঘরের অস্তিত্ব অস্বীকার করার কারণে আমরা তার গ্রেপ্তার দাবি করছি।”
মাওলানা শুয়াইব আহমেদ আশ্রাফী সম্প্রতি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার এক বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ বিষয়ে ফেসবুক লাইভ দিয়ে ভাইরাল হয়েছিলেন। এছাড়া তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মদিনাতুল উলুম জামিয়া আশ্রাফীয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক।এছাড়া সে নিজেও একজন ইসলামী বক্তা হিসেবে সুপরিচিত।
এ ব্যাপারে জানতে মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদি মোবাইলে ফোন দেয়া হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে আলেম সমাজ বলছেন, আলেমে আলেমে মতবিরোধ হলে সেটা ব্যক্তিগত উদ্যোগে মিটিয়ে নেওয়া উচিত। ফেসবুকে এভাবে আক্রমণাত্মক লেখালেখি হলে ইসলাম সম্পর্কে জনমানুষের কাছে ভুল বার্তা যায়। এছাড়া ইসলাম মানুষকে সহিষ্ণুতা ও ভিন্ন মতবাদে শ্রদ্ধাশীলতার শিক্ষা দেয়।