ছবি: সংগৃহীত
‘টকশো তারকারা আন্দোলনে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মানবজমিন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হালের জনপ্রিয় বিষয় হচ্ছে টেলিভিশন ও ইউটিউবে প্রচারিত টকশো। দিনের আলোচিত ঘটনার ফোকাস থাকে টকশোতে। প্রায় দু দশকের টেলিভিশন অনুষ্ঠানের টিআরপি লক্ষ্য করলে দেখা যায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ঘুরেফিরে টকশো। সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে টকশো তারকাদেরও মুখ বদলায়। তবে সব ছাপিয়ে বেশ কজন অতিথি আছেন যারা সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সব সরকারের সময় বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন।
৫ আগস্টের অভূতপূর্ব পরিবর্তনের পর টকশোতেও লক্ষ্য করা গেছে অতিথি তালিকায় পরিবর্তন। তবে এ নিয়ে যতোটা আলোচনা তার চেয়ে এখন বেশি আলোচনা হচ্ছে অতিথিদের সম্মানী নিয়ে, সামনে আসছে তাদের আন্দোলনের বিষয়টিও। জনপ্রিয় টকশোর আলোচকদের অন্তত বিশজনের বেশি অতিথি তাদের সম্মানী বাড়ানোর দাবিতে টকশোতে অংশ নিচ্ছেন না।
টকশোতে অংশ নেয়া একাধিক অতিথি মানবজমিনকে জানিয়েছেন সম্মানজনক সম্মানী নিশ্চিত না হলে তারা আর টকশোতে অংশ নেবেন না। তাদের বক্তব্য, টেলিভিশনে অংশ নেয়া যে কোনো আলোচকের বক্তব্য কর্তৃপক্ষ চারটি মাধ্যমে ব্যবহার করেন। টেলিভিশনের বাইরে তাদের ফেসবুক, ইউটিউব, রিলে নানাভাবে আলোচিত অংশ প্রচার করে বাড়তি আয় করে থাকেন টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ। অথচ অতিথিরা খুব সামান্যই সম্মানী পেয়ে থাকেন।
এতে আরও বলা হয়, টকশো’র অতিথিদের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২০ বছরে টকশো’র অতিথিদের সম্মানী বাড়েনি, একই জায়গায় আটকে আছে। অথচ এর মধ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় কয়েক গুণ বেড়েছে। বর্তমান বাস্তবতায় সম্মানীর পরিমাণ বৃদ্ধি জরুরি হয়ে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে সমমনা কয়েকজন অতিথি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, ৫ হাজার টাকার কম সম্মানীতে কোন টকশোতে তারা অংশ নেবেন না। আর তা কার্যকর শুরু হয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে।
যারা টকশোতে অংশ নিচ্ছেন না: মাহমুদুর রহমান মান্না, আবু আলম শহীদ খান, জোনায়েদ সাকি, রুমিন ফারহানা, এম এ আজিজ, মাহবুব কামাল, মাসুদ কামাল, গোলাম মোর্তোজা, ডাঃ জাহেদ উর রহমান, আশরাফ কায়সার, ডাঃ শাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ, ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, নূরুল হক নুর, রাশেদ খান, এমরান সালেহ প্রিন্স, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আসাদুজ্জামান রিপন, নিলোফার চৌধুরী মনি ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।