ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বন্ধুবান্ধব নিয়ে শেরপুরের ঝিনাইগাতীর গজনী অবকাশ কেন্দ্রে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক মাদ্রাসাছাত্রী। এই খবর শুনে ওই কিশোরীর মা লজ্জায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনায় ঝিনাইগাতী থানায় চার তরুণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসাপড়ুয়া নবম শ্রেণির এক ছাত্রী বন্ধুবান্ধব নিয়ে গজনী অবকাশ কেন্দ্রে বেড়াতে যায়। এ সময় কালিনগর গ্রামের ইলিয়াস তার সঙ্গীদের নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। তবে ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে কিশোরী। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার বিকেলে বাকাকুড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কয়েকজন যুবক সন্দেহভাজন দুই তরুণকে বেঁধে রাখে। এ খবর প্রচার হলে সেখানে উপস্থিত হন শত শত লোক।
মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এমন খবর শুনে লজ্জায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তার মা। পরে গারো পাহাড় থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রথমে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে ওয়াশ করে বিষ বের করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাতে তার অবস্থা আরও খারাপ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে বুধবার দুপুরে মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শেরপুরের সিভিল সার্জন জসীম উদ্দিন কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঝিনাইগাতী থানার ওসি আল আমীন বলেন, “ধর্ষণের ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের ধরতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।”