ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ০৪:২৭ পিএম
রাজধানীর হাতিরঝিলের ভাড়া বাসা থেকে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের এসাইনমেন্ট এডিটর শবনম শারমিনের মৃতদেহ ময়না তদন্ত শেষে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় নিজ বাড়িতে তাকে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে হাতিরঝিল থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এস আই) মোহাম্মদ ফয়সাল বিষয়টি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করেছেন।
এস আই ফয়সাল বলেন, “গতকাল মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিক শবনম শারমিনের ছোট ভাই ওমর রশিদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় সাংবাদিক শারমিনের স্বামী সাইদুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।”
হাতিরঝিল থানার ডিউটি অফিসার এস আই ফয়সাল আরও বলেন, “ময়না তদন্ত শেষে সাংবাদিক শবনম শারমিনের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।” আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, শবনম শারমিনের ছোট ভাই ওমর রশিদ দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে জানিয়েছেন, মৃতদেহ নিয়ে তারা ঝিনাইদাহ সদর উপজেলায় যাচ্ছেন। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর হাতিরঝিলের ভাড়া বাসা থেকে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের এসাইনমেন্ট এডিটর শবনম শারমিনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ তাঁর মরদেহটি সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
একটি টিভি চ্যানেলের সাবেক এক সাংবাদিককে শবনম বিয়ে করেছিলেন। শবনম অফিস থেকে ছুটিতে ছিলেন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁর বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল কুদ্দুস জানান, খবর পেয়ে বড় মগবাজার ৩০৮ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলার একটি বাসার দরজা ভেঙে ভেতর থেকে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশটি পচে গেছে। তাঁরা ধারণা করছেন, ৪-৫ দিন আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তাঁর স্বামী একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাবেক সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম। তাঁর সাথে গত মার্চ মাসে শবনম ওই বাসাটি ভাড়া নেন। ঘটনাস্থল থেকে সিআইডির ফরেনসিক টিম বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। সিআইডি জানাচ্ছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে এবং বিস্তারিত তদন্তের পর তাঁর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বলা যাবে।
শবনম শারমিনের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলায়। তাঁর বাবা মো. হারুন অর-রশিদ, মা মাসুদা খানম। শবনম দ্য রিপোর্ট ডট লাইভে প্রথমে সিনিয়র ফটোগ্রাফার হিসেবে যোগদান করেন। কর্মদক্ষতার কারণে এক পর্যায়ে তিনি দ্য রিপোর্ট-এ এসাইনমেন্ট এডিটরের দায়িত্ব পান।