‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’র ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এরই অংশ হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রধান ফটকে অবস্থান নিতে চাইলে সেখান থেকে তিনজন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও তিনজন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। সব মিলিয়ে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও ডিবি কতৃক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একাধিক নিরপরাধ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্দোলন আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। অবিলম্বে তাদেরকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, অহিংস আন্দোলন থেকে এভাবে শিক্ষার্থী আটক ও হেনস্তার বিরুদ্ধে শিক্ষক, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী সহ সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
- ফুয়াদ রাতুল
সহ-সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
বুধবার (৩১ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক। আটক হওয়া এই ছয়জন শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজনকে মতিহার ও অপর তিনজনকে রাজপাড়া থানায় পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে তিনজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। বিষয়টি জানতে মতিহার ও রাজপাড়া উভয় থানায় একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। নামপ্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেন, “এসব শিক্ষার্থীদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।”
আটক হওয়া ছয়জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে দুজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। তারা হলেন সৈয়দ বাসিতুল ইসলাম ও মাজেদ হোসেন। অন্যদিকে মহিষবাথান কলোনি থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া শিক্ষার্থীর নাম রিফাত সরকার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত।
আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’র সহ-সমন্বয়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, “পুলিশ ও ডিবি কতৃক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একাধিক নিরপরাধ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্দোলন আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। অবিলম্বে তাদেরকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, অহিংস আন্দোলন থেকে এভাবে শিক্ষার্থী আটক ও হেনস্তার বিরুদ্ধে শিক্ষক, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী সহ সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল বলেন, “যেসব থানায় আমাদের শিক্ষার্থীরা আটক আছেন সেসব থানায় কথা বলেছি। যদি শিক্ষার্থীরা নিরাপদ হয় তাহলে তাদেরকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়।”