সাংবাদিক লাঞ্ছনার অভিযোগ ঢাবির এস্টেট ম্যানেজারের বিরুদ্ধে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

মার্চ ৬, ২০২৪, ১০:১২ এএম

সাংবাদিক লাঞ্ছনার অভিযোগ ঢাবির এস্টেট ম্যানেজারের বিরুদ্ধে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পৃক্ত তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিক লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট ম্যানেজার ফাতেমা বিনতে মুস্তাফার বিরুদ্ধে। এর আগেও কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে বাজে ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। উক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রশাসনিক ভবনে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিতে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ বরাবর অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক মো. ছাব্বিরুল ইসলাম।

লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী সাংবাদিক বলেন, ‘সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর ভাসমান দোকান নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আমি এবং অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি ক্যাম্পাসের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক গতকাল এস্টেট অফিসে যাই। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদিত দোকানের তালিকা চাইতে এস্টেট ম্যানেজার ফাতেমা বিনতে মুস্তাফার সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু তিনি আমাদের কোনো প্রকার সহায়তা না করে তথ্য চাওয়ায় মৌখিকভাবে তিরস্কার করেন। তিনি আমাদের তার অফিসের দরজার পাশেই দাঁড় করিয়ে রেখে রূঢ়ভাবে বলেন, তোমরা কি পুলিশ নাকি সিন্ডিকেট মেম্বার যে তোমাদের এই তথ্য দিতে হবে? লিখিত আবেদন নিয়ে আসো আগে।’

অভিযোগপত্রের বক্তব্য তুলে ধরে এই সাংবাদিক বলেন, ‘তার (ফাতেমা বিনতে মুস্তাফা) ভাষ্যমতে আমরা এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নই যাদের তিনি এই তথ্য দেবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদিত দোকানের তালিকা এমন কোনো তথ্য নয় যেটা দিতে তার আপত্তি থাকার কথা। এর মাধ্যমে তার কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব পরিলক্ষিত হয়। যদি এটি প্রশাসনের কোনো গোপনীয় তথ্য হয়ে থাকতো এবং লিখিত আবেদনের প্রয়োজনীয়তাও থাকতো তাহলেও তিনি যেভাবে তিরস্কার করে কথা বলেছেন সেটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

ভুক্তভোগী আরো যুক্ত করেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর অফিস যেখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য সাংবাদিকদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করে থাকে সেখানে এস্টেট অফিসে জবাবদিহিতার অভাব থাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে তথ্যের প্রয়োজনে যদি একজন সাংবাদিককে তিরস্কারের স্বীকার হতে হয়, প্রতিবার লিখিত আবেদন নিয়ে যেতে হয় তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সাংবাদিক সাংবাদিকতার চর্চা করতে পারবেনা। এটি স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে বাধা।’ 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা ফাতেমা বিনতে মুস্তাফা বলেন, ‘কেউ যদি এটি লাঞ্ছনা মনে করে তাহলে আমার কিছুই করার নাই।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি শুনেছি এবং অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আমি অফিসে বলেছি আমার কাছে পাঠানোর জন্য। আমি ফাতেমাকে ডেকে বিষয়টি জানতে চাই এবং কেন দুর্ব্যবহার করেছে জানতে চাই। পরে তিনি লিখিতপত্র দিয়ে তথ্য নেওয়ার কথা বলে এবং দুর্ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করেন। যেহেতু লিখিত অভিযোগ দিয়েছে অফিশিয়লি আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

Link copied!