১১ দিনের জন্য ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ৬, ২০২৩, ০১:০২ পিএম

১১ দিনের জন্য ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা

রবিবার মাইকে ঘোষণা দিয়ে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় বাসিন্দারা। সংগৃহীত ছবি

এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ (৬ নভেম্বর) থেকে আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত ১১ দিন বন্ধ থাকবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি।

গতকাল রবিবার (৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ নাদির বিন আলীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী— আগামী ৬ থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে। একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় কবে শুরু করা হবে, তা পরবর্তীতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।

এর আগে রবিবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৭ দিন (১২ নভেম্বর পর্যন্ত) বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস অনলাইনে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ নাদির বিন আলী।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সব শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ বাসায় বা নিরাপদ স্থানে থেকে নিয়মিত অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করে পড়াশোনা ও শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।

এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় বাসিন্দারা। হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। শিক্ষার্থীরাও এলাকায় প্রবেশ করে প্রায় ২০০ দোকান ভাঙচুর করে। পরে আরেক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

এ প্রসঙ্গে ওই এলাকার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি সাহরিয়ার সুমন জানান, ‘শিক্ষার্থীরা অন্তত ৭০টি দোকান ভাঙচুর ও ৪টি দোকান আগুন দিয়েছে। এছাড়া দোকানে লুটপাট চালিয়েছে।’

তবে গ্রামবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেনি দাবি করে বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম মণ্ডল বলেন, ‘মাইকে ঘোষণা দিয়ে হামলার বিষয়টি আমি জানি না।’

সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে। গ্রামবাসীর সাথে কিছুটা ঝামেলা হয়েছিল। এখন ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ২৭ অক্টোবর ড্যাফোডিলের টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম অন্তরকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে খাগান এলাকায় ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজু হাসপাতাল পরে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিয়ে যান। এরপর পরিবারের তত্ত্বাবধানে তাকে ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন গত ২ নভেম্বর মারা যান অন্তর। 

এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়। এ মামলার আসামি রাহাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। 

Link copied!