জুলাই ১৭, ২০২৪, ০২:২৪ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক সম্মেলন কেন্দ্রে (টিএসসি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে কথা ছিল দুপুর দুইটায় গায়েবানা জানাজার। এরপর প্রতীকী ছয়টি কফিন নিয়ে হবে মিছিল। গতকাল মঙ্গলবার দেশব্যাপী ছয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গায়েবানা জানাজার আয়োজন করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। পরবর্তীতে উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনের সামনে গায়েবানা জানাজা সম্পন্ন করেন তারা।
জানাজা শেষে ক্যাম্পাসে প্রতীকী ছয়টি কফিন নিয়ে মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। প্রকৃত অর্থে তখনই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। মিছিলে একের পর এক সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ও কাঁদানে গ্যাস (টিয়ার শেল) নিক্ষেপ করতে থাকে পুলিশ। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে কলাভবনে আশ্রয় নেন। পরে আবারও সংঘবদ্ধ হন তারা। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেলও নিক্ষেপ করতে থাকেন তারা।
এ ঘটনায় যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ভাস্কর ভাদুড়ীসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে কলাভবনে আশ্রয় নেওয়ার খবর জানিয়েছেন দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের নিজস্ব প্রতিবেদক। এ ছাড়া ঢাবি ক্যাম্পাসে ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পরিদর্শন করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল মঙ্গলবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চট্টগ্রামে ৩, ঢাকায় ২ ও রংপুরের ১ জন রয়েছেন। গতকাল বিকেলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, রংপুর ও রাজশাহীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়।