ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্বিতীয় প্রজননক্ষেত্র ঘোষণা করার পাশাপাশি সেখানে প্রজননকালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩টি নদী নিয়ে এই প্রজননক্ষেত্র বিস্তৃতি। বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার বোলেশ্বর নদীসহ ৩৪২ দশমিক ৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা এর আওতাভুক্ত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বগি বন্দর ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা সংলগ্ন ভাইজোড়া এলাকা নিয়ে গঠিত হবে প্রজননস্থলের ওপরের অংশ।
প্রজননস্থলের মাঝখানের অংশ রয়েছে বাগেরহাটের শরণখোলার সুপতি (কোস্টগার্ড স্টেশন) ও বরগুনার পাথরঘাটার রুহিতা।
প্রজননস্থলের নিচের অংশ হচ্ছে—বাগেরহাটের শরণখোলার পোকখির চর সংলগ্ন পয়েন্ট ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লতাচাপলী ইউনিয়নের লেবুর বাগান।
এসব জেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত বলেশ্বর নদী দিয়ে সাগর থেকে ইলিশ আসে। এ কারণে মাছের উৎপাদন বাড়াতে এলাকাটিকে প্রজননক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এর আগে ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে ইলিশ আহরণের ক্ষেত্র ঘোষণা করে সরকার।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মায়ানী পয়েন্ট, ভোলার পশ্চিম সৈয়দ আউলিয়া পয়েন্ট এবং উত্তর কুতুবদিয়া, কক্সবাজার ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লতা চাপাতি পয়েন্ট মিলে ছিল এ আহরণ ক্ষেত্র।
মাছের উৎপাদন বাড়াতে প্রতিবছর সাধারণত অক্টোবরে প্রজননের সময় ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, কোনো ব্যক্তির এ ব্যাপারে তার মতামত বা আপত্তি থাকলে তা বিজ্ঞপ্তি জারি থেকে ২ মাসের মধ্যে জানাতে পারবেন।