বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি গভীর নিম্নচাপটি সন্ধ্যা ছয়টায় ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’–এ পরিণত হওয়ায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ছয়টায় যথাক্রমে পায়রা, মোংলা, কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে যথাক্রমে ৩৬৫ কিলোমিটার, ৪০৫ কিলোমিটার, ৪০০ কিলোমিটার এবং ৪৫৫ কিলোমিটার দূরে ছিল বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভোলা, পিরোজপুর ও অন্যান্য উপকূলীয় জেলার পাশপাশি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
এর আগে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় ৬ জেলাকে বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
ঘূর্ণিঝড় নিয়ে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত পূর্বাভাস ও ভূমি অতিক্রমের সম্ভাব্য এলাকার ভিত্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব জেলা হল সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলা।
বিআইডাব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীনদ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়ার পর এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মূলত জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটা কার্যকর থাকবে।”
বিআইডব্লিউটিএর ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় উপকূলীয় অঞ্চলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে।”