বিশ্ব নদী দিবস

নদীমাতৃক বাংলাদেশে এখন নদী আছে ১০০৮টি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩, ০৪:২১ পিএম

নদীমাতৃক বাংলাদেশে এখন নদী আছে ১০০৮টি

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন দেশে নদ-নদীর তালিকা প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে। তালিকানুযায়ী দেশে নদ-নদীর সংখ্যা এক হাজার আটটি। আর দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ হাজার কিলোমিটার।

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক সেমিনারে এ তালিকা সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। খুব শিগগিরই ওইসব নদ-নদীর নাম গেজেট আকারে প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে নদী রক্ষা কমিশনের। একই সাথে নদীর সংজ্ঞাও চূড়ান্ত করতে চায়।

নদী রক্ষা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গেজেট আকারে প্রকাশ করতে পারলে এসব নদী বাঁচানো ও সুরক্ষার পথ কিছুটা হলেও সুগম হবে। তারা আরও জানান, আরও কিছু নদ-নদীর তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। নদী রক্ষা কমিশনের তালিকায় থাকা কিছু নদীর বিষয়ে আপত্তিও রয়েছে। ওইসব আপত্তি নিষ্পত্তি হলে নদীর সংখ্যা আরও কিছু বাড়বে।

জানা গেছে, এর আগে ১০ আগস্ট দেশের সব নদ-নদীর একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছিল নদী রক্ষা কমিশন। ওই তালিকায় নদ-নদীর সংখ্যা ছিল ৯০৭টি। তালিকার ওপর মতামত ও আপত্তি আহ্বান করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দেয় কমিশন। ওইসব মতামত ও আপত্তি নিষ্পত্তি করে এই এক হাজার আটটির তালিকা চূড়ান্ত করেছে। আরও কিছু আপত্তি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।

দেশে নদ-নদীর তালিকা নিয়ে দীর্ঘদিন বিতর্ক রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১১ সালে তাদের এক প্রকাশনায় উল্লেখ করেছে, নদ-নদীর সংখ্যা ৪০৫। নদী গবেষকদের কেউ কেউ দাবি করেন, দেশে নদীর সংখ্যা হাজারের ওপর। দেশে নদী নিয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করে।

আর নৌপথ নিয়ে কাজ করে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ সংস্থাগুলো। তাদের কারও কাছেই নদীর প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে গবেষণা নেই। এর মধ্যেই নদীর এ তালিকা তৈরি করেছে নদী রক্ষা কমিশন।

প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে বলেছেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন দেশের সব নদ-নদীর অভিভাবক, নদীর সঠিক সংখ্যা ঠিক করার দায়িত্বও তাদের। এই রায়ে আদালত দেশের সব নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসাবেও উল্লেখ করেছেন। ওই এখতিয়ার বলেই নদী রক্ষা কমিশন এ তালিকা তৈরি করেছে।

নদী রক্ষা কমিশনের তথ্যমতে, দেশে ২২ হাজার কিলোমিটার নৌপথ থাকলেও বাস্তবে নৌযান চলাচল উপযোগী নৌপথের সংখ্যা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তথ্যমতে, দেশে ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচল করতে পারে এমন নৌপথের দৈর্ঘ্য নিয়ে শুষ্ক মৌসুমে চার হাজার ৮০০ কিলোমিটার। আর বর্ষা মৌসুমে সাত হাজার ৬০০ কিলোমিটারে।

তবে এ সংস্থাটির একাধিক প্রতিবেদন বলছে, ধীরে ধীরে নদী দখল হচ্ছে। নদীর তীর দখল ও ভরাট করে অপরিকল্পিতভাবে কলকারখানা গড়ে উঠছে। নদীতে প্রতিনিয়ত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এতে নদীর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সবচেয়ে ভয়ংকর তথ্য হচ্ছে, শুষ্ক মৌসুমে নদীর অবস্থান ধরে জরিপ করায় নদী সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে।

Link copied!