ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) বলা হয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড। গবেষণা থেকে শুরু করে দৈনন্দিন ক্যাম্পাসভিত্তিক জীবনযাপনের সব ক্ষেত্রেই প্রসিদ্ধি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির।
ঢাবি ক্যাম্পাসে খাওয়াদাওয়ার জন্য অনেকগুলো জায়গা রয়েছে। ক্যাম্পাসে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থী এবং বহিরাগত যে কোনও ব্যক্তিই সেসব জায়গায় খেতে পারবেন পেটভরে।
আপনি যদি ভোজনরসিক হয়ে থাকেন, তবে যেকোনও সময় ভোজন-পর্বের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার করে রাখতে পারেন। এখানে স্বল্পমূল্যে ও নির্ভেজাল খাবার পাওয়া যায়। চলুন জেনে আসি ঢাবি ক্যাম্পাসে কোথায় কোথায় নির্ভেজাল খাবার পাওয়া যায়-
ছাত্র-শিক্ষক সম্মেলন কেন্দ্রের (টিএসসি) ভেতরে ২০ টাকা দিয়ে আপনি মধ্যাহ্ন ও রাত্রিভোজন করে ফেলতে পারবেন। ডাকসুতেও পেয়ে যাবেন মাত্র ২০টাকায় একটা চিকেন, ডাল আর আলু ভর্তা। আপনি যদি হালকা নাশতা করতে চান তবে আপনার জন্য রয়েছে ভেলপুরি ও ফুসকা। এ ছাড়া হাকিম ও মিলন চত্বরে রয়েছে খিচুড়ি, ডিম চপ, চিকেন চপ। সঙ্গে লাচ্ছি ও পেঁপের জুস।
স্বল্প দামেই খেতে পারবেন। এ ছাড়া কলা, তেঁতুল, জলপাইসহ বিভিন্ন প্রকারের ভর্তা পাবেন মাত্র ২০ টাকায়। রিচ ফুড খেতে চাইলে চলে যেতে পারেন সমাজবিজ্ঞান চত্বরে।
মধ্যাহ্ন ভোজনে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে জসীমউদ্দিন হলের ক্যান্টিনে একদম সস্তায় খাবার খেতে পারবেন এখানে। নুডুলস থেকে শুরু করে বিকেলের নানা পদের নাশতা- যেকোনও খাবারই নাগালের মধ্যে পাবেন।
সস্তায় খেতে চাইলে শাহবাগের যেকোনও দোকানে একবার ঢু মেরে দেখতে পারেন। এখানে দুইপাশে দুই হাসপাতাল এবং প্রাচ্যের অক্সফোর্ডের অবস্থানের জন্য রাতেও অসংখ্য লোকের আনাগোনা চলতে থাকে। তাই এই এলাকায় হোটেলের সংখ্যাও বেশি। এর মধ্যে অন্যতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যলয়ের (বিএসএমএমইউ) চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের ক্যান্টিন।
ঢাকা মেডিকেলের সামনে আছে আনাস নামে একটি খাবার হোটেল। এই হোটেলে সস্তায় ভাত, মাছ, মাংস, ডিম, খিচুড়ি খেতে পারবেন। বহিরাগতদের মধ্যে প্রায়ই খাবারের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। সস্তায় খাবার কিনতে এসব জায়গা বেছে নিতে পারেন তারা।