চলতি মাসের শেষ দিনের হিসাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ দিনের মধ্যে এডিস মশাবাহিত এই রোগ প্রাণ কেড়ে নিল ৩৯৬ জনের। যা দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগের রেকর্ড হয়েছিল গত মাসেই। তখন ডেঙ্গুতে ৩৪২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর চলতি বছরে দেশে ডেঙ্গুতে ৯৮৯ জনের মৃত্যু হলো।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সকাল আটটা থেকে আজ শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে ঢাকায় আটজন ও ঢাকার বাইরে ছয়জন মারা গেছেন। এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে ২ হাজার ৪২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৫১ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোয় ১ হাজার ৬৭৪ নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ লাখ ৩ হাজার ৪০৬ জন। তাঁদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৮৩ হাজার ২২২ জন ও ঢাকার বাইরে ১ লাখ ২০ হাজার ১৮৪ জন রয়েছেন।
এ বছর যে ডেঙ্গু বাড়তে পারে, তা চলতি বছরের শুরুতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করা লার্ভা বা শূককীট জরিপেই আশঙ্কা হয়েছিল। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে পরিচালিত সেই জরিপে লার্ভার ব্যাপক উপস্থিতি পাওয়া যায়। পরে জুন মাসে পরিচালতি জরিপেও আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে লার্ভার বেশি উপস্থিতি পাওয়া যায় রাজধানীর বাড়িঘরে।
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ২৮১ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল গত বছর। এ ছাড়া ডেঙ্গুতে ২০১৯ সালে মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের। ২০২০ সালে ৭ জন এবং ২০২১ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় ১০৫ জনের।
ডেঙ্গু অবশ্য এবার দেশের সব জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। জুলাই মাসের শেষ দিকে ঢাকার চেয়ে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগী বেশি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শুরু হয়। এখনো ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে দ্বিগুণ বা এর বেশি হারে। ঢাকার বাইরে মৃত্যুও বাড়ছে।