আফগানিস্তান ত্যাগের আগের দিন ১০ বেসামরিক আফগানকে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১, ১০:২৪ এএম

আফগানিস্তান ত্যাগের আগের দিন ১০ বেসামরিক আফগানকে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের শেষ দিনের আগের দিন (৩০ আগস্ট) কাবুলে ড্রোন হামলায় ১০ বেসামরিক নাগরিকের নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের তদন্তে জানা গেছে, কাবুলের ওই হামলায় একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মী জামাইরি আকমাদি এবং তার পরিবারের ৭ শিশুসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সুমাইয়া নামের ২ বছর বয়েসী এক শিশুও ছিল।

তালেবানরা কাবুল দখলের পর কাবুল বিমানবন্দরে জঙ্গি গোষ্ঠি ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ভয়াবহ হামলার ২দিন পর বিমানবন্দর থেকে তিন কিলোমিটার দূরের একটি বাড়িতে বিস্ফোরকভর্তি একটি গাড়ি রয়েছে এমন সন্দেহে ড্রোন হামলা চালায় বিমানবন্দরে অবস্থানকারী মার্কিন বাহিনী। ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল ম্যাকেঞ্জি বলেছেন, হামলার আগে আট ঘণ্টা ধরে মার্কিন গোয়েন্দারা ওই ব্যক্তির গাড়িটিকে পর্যবেক্ষণে রেখেছিল। গোয়েন্দাদের ধারণা ছিল গাড়িটি স্থানীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস-কে অর্থাৎ ইসলামিক স্টেট খোরাসানের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। মার্কিন গোয়েন্দারা একটি ড্রোনের মাধ্যমে দেখতে পায়, ওই ব্যক্তি গাড়ির পেছনে কিছু কন্টেইনার ভরছেন। কিন্তু পরে জানা যায়, সেগুলো ছিলো পানির কন্টেইনার।

জেনারেল ম্যাকেঞ্জি এই হামলাকে ‘মারাত্মক ভুল’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দারাই হামলাটি চালিয়েছিল। সেখানে তালেবান কোনোভাবেই জড়িত ছিল না।

ড্রোন হামলার পরদিন নিহতের আত্মীয় স্বজনেরা গণমাধ্যমকে জানান, নিহতরা দেশত্যাগের জন্য আবেদন করেছিলেন। বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য ফোনের অপেক্ষায় ছিলেন। নিহতদের মধ্যে আহমাদ নাসের নামের একজন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর অনুবাদক।  

কাবুলের এই ড্রোন হামলাই আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছরের যুদ্ধের সর্বশেষ হামলা। দীর্ঘ সময় ধরে আকাশপথের ওপর নির্ভরশীল এই যুদ্ধের মানবিক ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহতার চিত্র ফুটে উঠেছে এ ঘটনার মধ্য দিয়ে।

Link copied!