ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাতে পারে: ন্যাটোর সাবেক মহাসচিব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুন ৮, ২০২৩, ০২:৩৩ পিএম

ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাতে পারে:  ন্যাটোর সাবেক মহাসচিব

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ আগ্রাসন মোকাবেলায় যুদ্ধ এখন পর্যন্ত কেবল ইউক্রেনে সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবে উত্তেজনা বাড়ছে গোটা ইউরোপে। লড়াই দীর্ঘ হলে এর পরিসর বৃদ্ধির শঙ্কাও বাড়বে। ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি অঞ্চল রুশ বাহিনী দখলে নিলেও প্রায় দেড় বছরেও যুদ্ধ থামার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় যুদ্ধ থামাতে ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন উত্তর আটলান্টিক সামরিক জোট-ন্যাটোর বেশ কয়েকটি সদস্যভুক্ত রাষ্ট্র ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে পারে। এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ন্যাটোর সাবেক প্রধান আন্দ্রেস রাসমুসেন।

তিনি বলেন, ন্যাটো জোটের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে যদি ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না দেওয়া হয়, তা হলে জোটের কোনো কোনো দেশ এ পদক্ষেপ নেবে বলে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।  ন্যাটো জোটভুক্ত যেসব দেশ ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে, তাদের নেতৃত্ব দিতে পারে পোল্যান্ড বলেও তিনি জানান।

বর্তমানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা ন্যাটোর সাবেক এই প্রধান আরও বলেন, লিথুয়ানিয়ায় আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ন্যাটো জোটের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে, এর আগে জোটের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা তথ্য শেয়ারিং, অস্ত্র হস্তান্তর এবং যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণসহ কিয়েভকে লিখিত নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। 

রাসমুসেন জোর দিয়ে বলেন, যদি ন্যাটো জোট সুস্পষ্টভাবে ইউক্রেনের পথ বেছে নিতে রাজি না হয়, তা হলে কোনো কোনো দেশ পৃথকভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে- এমন জোরদার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ন্যাটোভুক্ত দেশ না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও সামরিক জোট ন্যাটোর কোনো সদস্য রাষ্ট্র  এই  ইউক্রেনে সরাসরি কোনো সেনা পাঠায়নি। তবে ইউক্রেনের সীমান্তঘেঁষা সব দেশেই মোতায়েন আছে তাদের হাজার হাজার সেনা। উত্তেজনা বাড়তে থাকায় ইউক্রনের সীমান্ত ঘেঁষা পোল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়ায় নতুন করে সেনা পাঠিয়েছে ন্যাটো। আগে থেকেই জার্মানি, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও বুলগেরিয়ায় অবস্থান করছে জোটের সেনারা। কৃষ্ণসাগরের আশপাশে আছে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ।

বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, রুশ বাহিনীর অসাবধানতায় এসব দেশে অবস্থানরত বিদেশি সেনাদের ওপর হামলা হলে সূচনা হতে পারে বড় ধরনের যুদ্ধের।

Link copied!