আরব সাগরের ওমান উপকূলে ইসরায়েলের একটি তেলবাহী জাহাজে হামলায় ২ নাবিক নিহত হওয়ার ঘটনায় ইরানের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ বলেন, ‘ওই জাহাজে হামলায় দুইজন নাবিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ইরানের সম্পৃক্ততা রয়েছে।’খবর রয়টার্স’র।
লাপিদ আরও বলেন, ‘ইরান শুধু ইসরায়েলের জন্যই সমস্যা নয়, তাদের কর্মকাণ্ডে বিশ্বকে অবশ্যই চুপ থাকা উচিত নয়।’
আরব সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা ও নিহতের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ঘটনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপীয় ইউনিয়নও এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। তবে হামলার পেছনে ইসরায়েল যাকে সন্দেহ করছে সেই ইরানের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) আরব সাগরের ওমান উপকূলে ইসরায়েলের এক ব্যবসায়ীর ওই তেলবাহী জাহাজে হামলার ঘটনায় দুই নাবিক নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন ব্রিটিশ ও অন্যজন রোমানিয়ার নাগরিক।
ইসরায়েলের গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, ব্রিটেনভিত্তিক জোদিয়াক কোম্পানি এই জাহাজটি পরিচালনা করছিল। ইসরায়েলের ধনকুবের আইয়াল অফের হচ্ছেন ওই কোম্পানির মূল মালিক।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) জাহাজটির পরিচালনাকারী ব্রিটেনভিত্তিক জোদিয়াক কোম্পানির এক বিবৃতির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে আরও বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে মাসিয়া দ্বীপের কাছে জাহাজটি হামলার শিকার হয়। ওমানের রাজধানী মাস্কাট থেকে মাসিয়া দ্বীপৈর দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার।
জোদিয়াক বলেছে,জাহাজটি তানজানিয়ার রাজধানী দারুসসালাম থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দরে যাচ্ছিল। হামলার সময় জাহাজটি ভারত মহাসাগরের উত্তরাংশে ছিল। জোদিয়াকের বিবৃতিতে ডাকাতির ঘটনা উল্লেখ থাকলেও এ হামলায় ইরানের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ ইসরায়েলের।