যেসব দেশ ন্যাটোতে যোগ দিতে চাওয়ার পাশপাশি জঙ্গীবাদকে মদদ দেয় ওইসব দেশকে উত্তর আটলান্টিক নিরপত্তা জোট-ন্যাটোর সদস্য করে নিতে তুরষ্ক ‘সায়’ দিতে পারেনা বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোয়ান।
আজারবাইজানের রাজধানী বাকু সফর শেষে আঙ্কারায় ফেরার পর প্রেসিডেন্ট এরদোগান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, “গত সপ্তাহে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে ‘সেটি প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি’।” ফিনল্যান্ড ও সুইডেন এ আলোচনা থেকে ফলাফল প্রত্যাশা করলেও তারা তুরস্কের দাবি দাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলেও তিনি জানান।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের রাস্তায় জঙ্গীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে আর তাদের ‘নিরাপত্তা দিচ্ছে সুইডিশ পুলিশ বাহিনী’।
এরদোয়ান বলেন, “যেসব দেশ জঙ্গীবাদকে মদদ দেয় তাদেরকে ন্যাটোতে যোগ দিতে তুরস্ক সায় দিতে পারবে না। কারণ এর আগেও এমন দেশকে ন্যাটোতে যুক্ত করতে সম্মতি দেওয়া হয়েছিল যা তুরষ্কের কোনোভাবেই ঠিক হয়নি।”
ন্যাটো একটি নিরাপত্তা সংগঠন-উল্লেখ করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “যেসব দেশ জঙ্গীদের মদদ ও আশ্রয় দেয় তাদের ন্যাটোতে যুক্ত করে আমরা আগে যে ভুল করেছিলাম সেটি আবার করতে পারব না।”
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে এরদোয়ান জানান তিনি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন এবং আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা চালাবেন।
প্রসঙ্গত, তুরস্কের দাবি, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন পিকেকে ও ওয়াইপিজি নামে কুর্দিস সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দেয়। এ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ৮০র দশক থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ