খাঁ খাঁ করছে দিঘা। রবিবার যে সৈকতশহর ছিল পর্যটকদের কোলাহলে ভরপুর, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেখানে নামল নীরবতা। সোমবার (৩ জানুয়ারি) সকালে দিঘার ছবি দেখে অনেকেই লকডাউনের দিনগুলোর কথা স্মরণ করেছেন।
বৃষ্টি-পশ্চিমী ঝঞ্ঝার গেরো নেই। সোমবার রাজ্যের বাকি অংশের মতোই দিঘাও ছিল রোদ ঝলমলে। সেই সঙ্গে উত্তুরে হাওয়া। বর্ষবরণের সময় থেকেই পর্যটকরা ভিড় করেছিলেন সেখানে। কিন্তু তাল কেটেছে রবিবার রাজ্যের ঘোষণায়।
ঘোষণা শোনামাত্রই দিঘা ছাড়তে শুরু করেছেন অনেকেই। সোমবার সকালেও সেই পর্ব চলেছে। ফলে এক লক্ষেরও বেশি পর্যটক যেখানে জড়ো হয়েছিলেন সেই এলাকা এখন খাঁ খাঁ করছে। মাত্র এক দিন আগেও যেখানে দারুণ ভিড় ছিল, সেই জায়গা এখন জনশূন্য। হাতে গোনা কয়েক জন পর্যটক অবশ্য রয়ে গিয়েছেন। তবে তারা প্রশাসনের কড়াকড়িতে সৈকতের ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেননি।
অনেক পর্যটক রবিবার এসেছিলেন দিঘায় কয়েকটা দিন কাটানোর জন্য। তারাও হোটেল ছেড়ে সোমবার সকালেই বাড়িমুখো হয়েছেন। অনেকে আবার সপ্তাহ ব্যাপী হোটেলে থাকার জন্য আগাম বুকিং রেখেছিলেন। সেই বুকিংও আপাতত বাতিল হয়েছে।
রাজ্যের ঘোষণা মতো, সোমবার সকাল থেকেই জারি হয়েছে বিধিনিষেধ। যেখানে স্পষ্ট করেই পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে হোটেলে পর্যটক আসতে পারবেন না এমন কোনও নির্দেশিকাও জারি হয়নি। তার জেরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে পর্যটক থেকে হোটেল ব্যবসায়ী সকলের মধ্যেই। জেলা প্রশাসন অবশ্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সমুদ্র পাড়ে কাউকে যেতে দেওয়া হবে না।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। পরিস্থিতি না শোধরালে প্রশাসন আরও কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। আচমকা এই ছন্দপতনে অবশ্য হতাশ ব্যবসায়ীমহল।
সূত্র: আনন্দবাজার