পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মুহাম্মদ মাজারির ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সদস্যরা এই হামলা চালায়।
শনিবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, 'দলত্যাগ করার' জন্য পিটিআই দলের আইনপ্রণেতারা এসময় মাজারিকে চড় ও ঘুষি মারেন এবং তার চুল ধরে টানাহেঁচড়া করেছেন।
টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, নিরাপত্তারক্ষীরা দোস্ত মুহাম্মদ মাজারিকে উদ্ধার করার আগে ইমরানের দলের সদস্যরা তাকে চড়-ঘুষি মারেন এবং টানাহেঁচড়া করেন। এরপর নিরাপত্তা কর্মীরা এসে তাকে সরিয়ে নেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পিটিআই দলের সংসদ সদস্যরা পার্লামেন্টে লোটা (বদনা) নিয়ে ঢোকেন। ‘লোটা লোটা’ বলে শ্লোগান দিতে দিতে তার দিকে বদনা ছুড়ে মারেন। এরপরই ওই টানাহেঁচড়ার ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠলে নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাছে অনুরোধ জানানো হয়। এরপর দাঙ্গা বিরোধী বাহিনীর কর্মীরা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে সমাবেশে প্রবেশ করে পিটিআইয়ের অন্তত তিনজন এমপিকে গ্রেফতার করে।
এই হামলার ব্যাপারে সাংবাদিকদের মাজারি বলেছেন, যারা আমার উপর হামলা চালিয়েছে তারা আসলে সামরিক শাসন চায়। এর পর পিটিআই সদস্যরা ওয়ার্ক আউট করে চলে গেলে ভোটাভুটি শুরু হয়। এই ভোটাভুটিতে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হামজা শাহবাজ শরিফ নির্বাচিত হন। হামজা শরিফ ইমরানবিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রার্থী ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ছেলে।
পাকিস্তানে শরিফ পরিবারের তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন হামজা শরিফ। এর আগে হামজার বাবা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ তিন দফায় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এরও আগে, শাহবাজের বড় ভাই, পিএমএলের (এন) সর্বোচ্চ নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন।