ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২, ০১:৫৭ পিএম
আবারও গৃহযুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে মিয়ানমার। গণতন্ত্র ফেরাতে মিয়ানমারের অবৈধ জান্তা সরকারের সঙ্গে দেশটির বেসামরিক নাগরিকদের আন্দোলনের পরিবর্তিত ধরন দেখে এমনটাই মনে করছে আন্তজার্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো।
সামরিক অভ্যূত্থানে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সূচীকে ক্ষমতাচ্যূত করে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারী ক্ষমতা দখল করে দেশটির জান্তা সরকার। এরপর থেকে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাচ্ছে বেসামরিক নাগরিকরা। আন্দোলনরত এ নাগরিকদের একটি বড় অংশই তরুন। জান্তা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে সেনাবাহিনীর ক্রাকডাউনে কয়েক দফায় হাজারো মানুষ নিহত হয়েছেন।
গত বছরের অগাস্ট থেকে নিহতের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়েছে। কনফ্লিকট মনিটোরিং গ্রুপ একলেড নামক একটি গবেষণা সংস্থার তথ্যমতে, সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর গত এক বছরে দেশটিতে রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রায় ১২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
১৯৮৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে প্রায় ১৫ বছর গৃহবন্দি থাকেন মিয়ানমারের ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসী-এনএলডি পার্টির নেত্রী অং সান সূচী। সামরিক শাসন থেকে মিয়ানমারকে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনা সূচীকে ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করলে প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। ২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনেও এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। বছর খানেক আগে তাকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এর আগে ১৯৯০ সালে সূচীর দল ৮১শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করলেও তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি জান্তারা।