বন্দুকধারীদের গুলিতে মেয়রসহ নিহত ৬৯

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ৫, ২০২১, ১২:৩২ পিএম

বন্দুকধারীদের গুলিতে মেয়রসহ নিহত ৬৯

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি গ্রামে বন্দুকধারীদের হামলায় স্থানীয় এক মেয়রসহ অন্তত ৬৯ জন নিহত হয়েছেন। এ মর্মান্তিক ঘটনায় দেশটির সরকার শুক্রবার (৫ নভেম্বর) থেকে দুই দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে।খবর এএফপি ও বিবিসি’র।

বুরকিনা ফাসো ও মালির সীমান্তঘেঁষা নাইজারের গোলযোগপূর্ন ‘ত্রি-সীমান্ত’ জোনে তিলেবাড়ির পশ্চিমাঞ্চলের বনিবানগৌ থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে আদেব-দাব গ্রামে মঙ্গলবার এ ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) মালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।  

মালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলকাচি আলহাদা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, ‘হামলা থেকে ১৫ জন বেঁচে গেছেন এবং এতে একটি তল্লাশি অভিযান চলছে।’

বৃহস্পতিবার দেশটির স্থানীয় একটি সূত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, আদাব-দাব গ্রামে হামলাটি হয়েছে।‘ইসলামিক স্টেট ইন দ্য গ্রেটার সাহারা (আইএসজিএস) এর ভারী সশস্ত্র সদস্যরা প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওপর মোটরসাইকেলে করেই হামলা চালিয়েছিল।’

অপর এক সূত্র জানায়, এ হামলার লক্ষ্য ছিল জিহাদি বিরোধী প্রতিরক্ষা বাহিনী। আর এ বাহিনী ভিজিল্যান্স কমিটি হিসেবে পরিচিত। বানিবানগৌ জেলার মেয়র এ কমিটির প্রধান ছিলেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, হামলার পর বন্দুকধারীরা তাদের সদস্যদের মৃতদেহ নিয়ে মালির দিকে চলে যায়।

নাইজারের পশ্চিমের তিলাবেরি অঞ্চলে এর আগের হামলাগুলোর জন্য স্থানীয় কর্মকর্তারা ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক গোষ্ঠীকে দায়ী করেছিল। গত জানুয়ারিতে ওই সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় সেখানকার অন্তত ১০০ বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারান।

চলতি বছর সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলায় ৫৩০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করেছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি।

সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ২ জানুয়ারি তিলাবেরিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ১০০ জন নিহত হয়েছিলেন। এর আগে দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর হামলায় ২০২০ সালে ৭০ জন এবং ২০১৯ সালে ৮৯ জন নিহত হন।

Link copied!